Monday, December 1, 2025

ব্রাত্য বসুর গাড়ির দূষণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ! মালিক কে— কুণাল ঘোষ? এসএফআইয়ের দাবি ঘিরে বিতর্ক

Share

ব্রাত্য বসুর গাড়ির দূষণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্ক। এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই

এসএফআই দাবি করেছে, শিক্ষামন্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়ির দূষণ সংক্রান্ত নথির বৈধতা শেষ হয়ে গেছে, অথচ সেটি এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গাড়ির মালিকের নাম নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই গাড়ির প্রকৃত মালিক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ হতে পারেন!

এই অভিযোগের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। কী বলছেন কুণাল? কী বলছে এসএফআই? আর পুলিশই বা কী করছে?— বিস্তারিত জেনে নিন।


🚗 ব্রাত্যের গাড়ি দূষণবিধি লঙ্ঘন করেছে? কী বলছে এসএফআই?

গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য জানতে সরকারি পোর্টালে অনুসন্ধান চালিয়েছিল এসএফআই

🔹 তারা দাবি করেছে, ব্রাত্য বসুর গাড়িটির দূষণ নিয়ন্ত্রণ নথির বৈধতা ছিল ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত
🔹 এরপর সেটি নবীকরণ করা হয়নি, অর্থাৎ এখন এই গাড়ি বেআইনি ভাবে চলছে
🔹 সেই সঙ্গে গাড়ির মালিকের নামেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা।

নথি অনুযায়ী, গাড়ির মালিকের নামের অংশ ‘ইউএ এইচএস’**। এসএফআইয়ের মতে, এটি কুণাল ঘোষের নামের অংশ হতে পারে!

তারা আরও বলেছে—

“একজন মন্ত্রী কীভাবে দূষণবিধি লঙ্ঘন করা গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন? কেনই বা এই তথ্য গোপন করা হচ্ছে?”

এসএফআই তাদের দাবির স্বপক্ষে গাড়ির নথির ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছে


🛑 কুণাল ঘোষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া

এসএফআইয়ের দাবির পরেই সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন—

“আমার নামে কোনও গাড়ি সরকারি দফতরে ভাড়া খাটে না। গাড়ির প্রকৃত মালিক কে, আমি জানি না। ব্রাত্য বসুও জানেন না। এগুলো সব বাজে কথা।”

তিনি আরও দাবি করেন—

“এসএফআই যাদবপুরে যে গুন্ডামি করেছে, তা আড়াল করতেই এসব আজগুবি কথা বলা হচ্ছে।”

তৃণমূলের পক্ষ থেকে এসএফআইয়ের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে


🔥 যাদবপুরের অশান্তি ও এসএফআইয়ের প্রতিক্রিয়া

গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপা (তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন)-র সম্মেলনে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

📌 শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই শুরু হয় বাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ
📌 ব্রাত্যের গাড়ি ঘিরে ধরে ছাত্ররা, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে
📌 অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে চান ব্রাত্য!
📌 আহত হন কয়েকজন পড়ুয়া। এক ছাত্রের চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।
📌 পাল্টা অভিযোগ— ব্রাত্যের গাড়িতে ইট ছোড়া হয়, তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়

এসএফআইয়ের দাবি, এ ঘটনায় ছাত্রদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল

এসএফআই নেতা দেবাঞ্জন দে বলেন—

“১০০টা এফআইআর করা হলেও কিছু যায় আসে না। গুন্ডামি ছাত্ররা করেনি, করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজে। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, হাসপাতালে উপাচার্যের হেনস্থার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক।”

শনিবার রাতেই যাদবপুর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়

📌 ‘শিক্ষাবন্ধু’ (তৃণমূলপন্থী সংগঠন)-র অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
📌 কেপিসি হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত হন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত

এসএফআই বলছে—

“কে আগুন লাগিয়েছে, তা তদন্ত হোক। কিন্তু ছাত্রদের দোষ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিজেকে নির্দোষ বানানোর চেষ্টা করছেন।”


⚖️ পুলিশের পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক তরজা

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫টি এফআইআর দায়ের হয়েছে

🔹 পুলিশ একজন ছাত্রকে আটক করেছে
🔹 তবে তৃণমূল ও এসএফআই— দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলছে
🔹 তৃণমূলের দাবি, এসএফআই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে
🔹 আর এসএফআই বলছে, তৃণমূল শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক দখলদারি চালানোর চেষ্টা করছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখনও থমথমে


🔍 তাহলে আসল সত্য কী?

ব্রাত্যের গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ নথি নবীকরণ হয়নি— এটা সত্য।
কিন্তু গাড়ির মালিক কুণাল ঘোষ কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট তথ্য নেই।
এসএফআই এই তথ্য সামনে এনে শিক্ষামন্ত্রীকে চাপে ফেলতে চাইছে।
তৃণমূল এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে।
পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে, তবে ঘটনা কতদূর এগোয়, সেটাই দেখার বিষয়।


📝 শেষ কথা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এখন রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত।

👉 শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব এসএফআই
👉 তৃণমূল বলছে, ছাত্র আন্দোলনের নামে গুন্ডামি হয়েছে
👉 ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের তদন্ত চলছে
👉 ব্রাত্য বসুর গাড়ির দূষণ নথি নবীকরণ হয়নি, তবে মালিক কুণাল ঘোষ কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা

এই ঘটনা শুধু যাদবপুরের গণ্ডিতে আটকে নেই, বরং তা রাজ্যের বৃহত্তর ছাত্র রাজনীতি ও প্রশাসনিক লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে

🔥 পরবর্তী কাণ্ড কী হবে? তদন্ত কি নতুন মোড় নেবে? নাকি এই বিতর্কও রাজনীতির যুদ্ধে হারিয়ে যাবে?— সেটাই এখন দেখার!

শেষ দিনের শ্যুটিং, আবেগে ভাসল ‘নিম ফুলের মধু’ পরিবার

Read more

Local News