ব্যাংককের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের বাঁচার আশা ক্ষীণ!!
ব্যাংককের আকাশচুম্বী ৩০ তলা ভবনটি এক মুহূর্তের মধ্যেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নির্মীয়মাণ এই ভবনটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের বেশিরভাগেরই হয়তো আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই!
ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটকে অন্তত ৫০ জন!
ব্যাংকক পুলিশ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অন্তত ৫০ জন আটকে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জীবিত উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম! পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আশাও তত কমে আসছে।”
শুক্রবার ভবনটি ভেঙে পড়ার সময় শতাধিক মানুষ সেখানে কাজ করছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময়ই ১০ জনের মৃত্যু হয়। পরে, রবিবার সকাল পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩২ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এখনো নিখোঁজ বহু শ্রমিক।
কঠিন হয়ে উঠছে উদ্ধার অভিযান
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে ৩০ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপ এতটাই ভারী এবং বিপজ্জনক যে উদ্ধারকাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ব্যাংককের ডেপুটি গভর্নর তাইডা কামোলভেজ বলেছেন, “আমরা এখনো আশার আলো দেখছি। উদ্ধারকারী দল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভবনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিচের দিকে পৌঁছানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
ভূমিকম্পের ধাক্কা ও আগাম সতর্কবার্তা
মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পাশের দেশ থাইল্যান্ডেও। রাজধানী ব্যাংককের বাইরে প্রাণহানির কোনো খবর না মিললেও, শহরের অবস্থা বেশ সংকটপূর্ণ।
ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককের প্রায় দুই হাজার নির্মাণকাজে ফাটল দেখা দিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যেই ৭০০টি ভবন পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি শিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, “ব্যাংককের নির্মাণাধীন ভবন ধ্বংস হওয়া ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তেমন বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।” তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। শহরের অনেক বাসিন্দাই ভবিষ্যতে আরও ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রয়েছেন।
শেষ কথা
ব্যাংককের এই নির্মীয়মাণ ভবন ধ্বংসের ঘটনায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন, কিন্তু জীবিত কাউকে পাওয়ার আশা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা আটকে রয়েছেন, তাদের স্বজনদের চোখে এখন শুধুই কান্না আর হতাশা!
ভবন নির্মাণের সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই দুর্ঘটনার পর থাইল্যান্ড সরকার ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় এড়াতে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিজেপি-এডিএমকে জোট নিয়ে নতুন জল্পনা: শর্তই কি আলোচনার মূল বিষয়?