বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইডির তল্লাশি
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং তাদের পরিচালকদের বাড়িতে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) হানা দিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অন্তত আটটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে একযোগে তল্লাশি চলছে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়ায় তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের বাড়ি এবং তাঁর পরিচালিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ।
তল্লাশির কেন্দ্রবিন্দু
এই অভিযানের মূল বিষয় এনআরআই কোটা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে এনআরআই কোটার মাধ্যমে মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে, যা যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ আসনগুলিকে সরাসরি বঞ্চিত করেছে।
রাজ্যে তল্লাশি
হলদিয়ার পাশাপাশি বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজেও অভিযান চালানো হচ্ছে। কলকাতার তারাতলা এলাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মালিকের আত্মীয়ের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। অভিযানে ইডির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশব্যাপী অভিযান
রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইডি সারা দেশে মোট ২৮টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি চালাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। এনআরআই কোটায় ভর্তি দুর্নীতির মামলায় আগে থেকেই নজর ছিল ইডির। মঙ্গলবারের অভিযান সেই তদন্তেরই অংশ।
পুরনো নাম নতুন আলোচনায়
বীরভূমের একটি মেডিক্যাল কলেজের মালিক মলয় পীটও এই অভিযানের আওতায় এসেছেন। মলয়ের নাম এর আগেও গরু পাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছিল। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর চিকিৎসা শিক্ষায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এনআরআই কোটার অপব্যবহার করে যারা আর্থিক সুযোগ নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে।
ইডির এই অভিযান চিকিৎসা শিক্ষায় স্বচ্ছতা ফেরাতে কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে। তবে দেশব্যাপী এমন অভিযান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

