বৃষ্টির দিনে ঘন ঘন লোডশেডিং?
বর্ষাকাল এলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের জেরে শুধু ঘরের অন্ধকার নয়, চিন্তা বাড়ে ফ্রিজের খাবার নিয়েও। খাবারে পচন ধরার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনই নষ্ট হতে পারে মশলাপাতি, দুধ কিংবা রান্না করা খাবার। অথচ একটু সচেতন থাকলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বিদ্যুৎ চলে গেলে বা ঘন ঘন লোডশেডিং হলে কীভাবে ফ্রিজে রাখা খাবার সতেজ ও নিরাপদ রাখা যায়, দেখে নিন কিছু কার্যকরী কৌশল।
প্রথমেই মাথায় রাখবেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্রিজের দরজা বার বার খোলা একদম উচিত নয়। যতবার দরজা খোলা হয়, ভিতরের ঠান্ডা তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে, ফলে খাবার পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে ফ্রিজ খোলার থেকে বিরত থাকুন। যদি একবার খোলেনও, দ্রুত যা দরকার বার করে দরজা বন্ধ করে ফেলুন।
ফ্রিজের ভিতরে ঠান্ডার সমান বণ্টনের জন্য ফ্রিজকে অতিরিক্ত জিনিসে ভর্তি করে ফেলবেন না। এতে হাওয়া চলাচলে বাধা পড়ে, এবং খাবারের চারপাশে সঠিকভাবে ঠান্ডা পৌঁছায় না। বিশেষ করে এয়ার ভেন্ট বা হাওয়ার প্রবাহের পথ যেন কোনওভাবেই ব্লক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ফ্রিজে সবসময় প্রস্তুতকারকের নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। যদি ডিজিটাল ইন্ডিকেটর না থাকে, তবে একটি ছোট থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা নজরে রাখা ভালো।
আরেকটি সাধারণ ভুল হল গরম খাবার সরাসরি ফ্রিজে রাখা। এটি একদিকে যেমন ফ্রিজের ভিতরের তাপমাত্রা বেড়ে দেয়, তেমনই অপর খাদ্যদ্রব্যেরও ক্ষতি করে। খাবার ঘরের তাপমাত্রায় আসা অবধি অপেক্ষা করেই ফ্রিজে রাখুন।
বর্ষার দিনে যেখানে বিদ্যুৎ অনিয়মিত, সেখানে অল্প খাবার রান্না করাই শ্রেয়। এক বা দু’বেলার জন্য রান্না করলে সেটি দ্রুত খাওয়া সম্ভব, ফলে সংরক্ষণের চাপ কমে যায়। বাসি খাবারে যেমন পুষ্টিগুণ কমে যায়, তেমনই খাদ্য বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই আগে থেকে ফ্রিজে স্টক করে রাখার বদলে প্রতিদিন নতুন রান্নার দিকেই মন দিন।
বিদ্যুৎ চলে গেলে যেসব খাবার দ্রুত নষ্ট হয়, যেমন—দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, মাছ-মাংস, রান্না করা তরকারি, স্যালাড বা কাটা ফল—এইসব খাবারগুলিকে তৎক্ষণাৎ ফ্রিজার বা আইস বক্সে সরিয়ে দিন। ঘরে আইস ব্যাগ বা আইস বক্স থাকলে এই সময়ে দারুণভাবে কাজে লাগে। খাবারের পাশেই রাখলে ঠান্ডা বজায় থাকে এবং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
সবশেষে, কোনও খাবার খাওয়ার আগে তার গন্ধ, রং বা অবস্থা দেখে নিন। সন্দেহ হলেই ফেলে দিন। ভুল করে খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বর্ষাকালের এই অনিয়মিত বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে একটু সচেতন থাকাই ফ্রিজের খাবার বাঁচানোর চাবিকাঠি।
নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার শুনানি স্থগিত, ট্রাম্পের সমর্থনের ছায়া কি পড়ল আদালতের সিদ্ধান্তে?

