বিস্ফোরণ কান্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি!
পশ্চিমবঙ্গের বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ তুঙ্গে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে এনআইএ তদন্তের আবেদন, তেমনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। বিস্ফোরণের অভিঘাত রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।
কী ঘটেছে?
সম্প্রতি রাজ্যে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার নাম জড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি হয়ে উঠেছে আরও সংবেদনশীল। ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছে বিস্ফোরকের চিহ্ন এবং প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের রিপোর্টে উঠে এসেছে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা। এই প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা—যেখানে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত একমাত্র জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-ই করতে পারে।
অভিষেকের কড়া বার্তা
এই ঘটনার পরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, দলে কোনও রকম অপরাধ বা অনৈতিকতার জন্য কোনও জায়গা নেই। তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
দলীয় সূত্রে খবর, বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অনৈতিক কাজের অভিযোগ ছিল। বিস্ফোরণ কান্ড সামনে আসতেই দলীয় নেতৃত্বের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
হাই কোর্টে আবেদন, তদন্তের দাবিতে সরব বিরোধীরা
অন্যদিকে বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীরা দাবি তুলেছে, এই ঘটনা এক গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। তাদের অভিযোগ, পুলিশের তদন্ত যথাযথ নয় এবং দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে।
এই প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীদের দাবি, বিস্ফোরণে জঙ্গিযোগ বা আন্তঃরাজ্য চক্র জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কেবলমাত্র এনআইএ-এর মতো নিরপেক্ষ সংস্থা-ই এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য বের করতে পারে।
রাজনীতির ছায়া বিস্ফোরণে
এই বিস্ফোরণ ঘটনার জেরে ফের একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শাসক দল যেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করছে, বিরোধীরা সেখানে এই ঘটনাকে ব্যবহার করছে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণের অস্ত্র হিসেবে।
শেষ কথা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিস্ফোরণ ঘটনাটি এবার শুধু আইনত নয়, রাজনীতির মঞ্চেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত পদক্ষেপ শাসক দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখলেও, এনআইএ তদন্ত শুরু হলে আরও অনেক অজানা দিক সামনে আসতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতির আগামী দিনগুলো বিস্ফোরণের মতোই চরম উত্তেজনার হতে চলেছে, এটা স্পষ্ট।
খেলাধুলা বিল ঘিরে বড় রদবদলের মুখে বিসিসিআই! পরিবর্তনের হাওয়া ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে

