Wednesday, February 12, 2025

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবাধ আলোচনা চান ট্রাম্প, শপথে আমন্ত্রণ পেলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

Share

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। রিপাবলিকান পার্টির মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিত জানিয়েছেন, ট্রাম্প সবসময়ই বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবাধ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তাই, শি জিনপিংকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তবে, চিনের একদলীয় কমিউনিস্ট শাসক এই আমন্ত্রণে কী সাড়া দিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

ক্যাপিটল হিলের অনুষ্ঠানে শি জিনপিং যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। রিপাবলিকান মুখপাত্র লেভিত বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনও জবাব আসেনি, তবে শীঘ্রই জানাতে পারব।” ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই চিনের পক্ষ থেকে একাধিক বার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে, শি জিনপিং এবং ট্রাম্পের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক তৈরি হবে, তা ভবিষ্যতে দেখার বিষয়।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, “আমরা সবসময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই।” তবে, এই বিবৃতিতে ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তারা আরও জানায়, “যদি উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়, তা হলে আমেরিকা-চিন সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।”

কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্পের শপথের আমন্ত্রণের বিষয়টি বিশ্বরাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। গত কয়েক বছরে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল বাণিজ্য যুদ্ধ। ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকা চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল, যা চিনের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে, ট্রাম্পের শপথের আমন্ত্রণের পর, অনেকের মতে, দুই দেশ আগামী দিনগুলোতে কূটনৈতিক আলোচনার নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও একাধিক বার চিনকে নিয়ে খোঁচা দেওয়া হয়েছিল। রিপাবলিকান শিবিরের দাবি ছিল, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা থেকে লাভ নিয়েই চিন নিজেদের অর্থনীতি শক্তিশালী করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, আমেরিকার উৎপাদন শিল্প ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়েছে, কিন্তু চিন সেই সুযোগে নিজেদের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা ছিল যে, আমেরিকার বাজারে চিনের পণ্যগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এমনকি, বাইডেনের আমলে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে, যা ট্রাম্পের আমলে আরও নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। তাই, শি জিনপিংকে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে কেমন মোড় নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে, যেখানে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে।

Read more

Local News