Monday, December 1, 2025

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ধীরে শুরু হাম্পির, অশান্তির মাঝেই নজর ভবিষ্যতের দিকে

Share

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ধীরে শুরু হাম্পির!

বিশ্ব মহিলা দাবা বিশ্বকাপে ভারতের গর্ব কোনেৰু হাম্পি ধীর-স্থির সূচনায় শুরু করলেন সেমিফাইনালের লড়াই। রবিবার প্রথম দফার খেলায় তিনি ড্র করলেন প্রতিদ্বন্দ্বী সারাহ খাদেমের বিরুদ্ধে। যদিও ফলাফল এখনও নির্ধারিত নয়, তবুও হাম্পির ধৈর্যশীল খেলা প্রমাণ করল—তিনি সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।

খেলার গতি ও পরিকল্পনা

রাশিয়ার চেনসো শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ফিদে মহিলা বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালের প্রথম খেলায় হাম্পি ছিলেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে। খেলার শুরু থেকেই দু’জন খেলোয়াড়ই বেছে নেন রক্ষণাত্মক কৌশল। কেউই ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না। তাতে বোর্ডে গতি কম হলেও থমথমে উত্তেজনা ছিল ঠিকই।

খাদেম, যিনি সম্প্রতি ইরান থেকে স্পেন অভিবাসিত হয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক মহলে সাহসী নারী দাবাড়ু হিসেবে পরিচিত, তিনিও হাম্পির শান্ত ভঙ্গির বিপরীতে খুব একটা আগ্রাসী হননি। এর ফলে ৩০ চালের মধ্যেই খেলা ড্রয়ের দিকে গড়ায়।

হাম্পির অভিজ্ঞতা ও লক্ষ্য

কোনেৰু হাম্পি ভারতের অন্যতম সেরা মহিলা দাবাড়ু। বিশ্ব দাবা অঙ্গনে বহু বছর ধরে নিজের দক্ষতা, ধৈর্য ও কৌশলের মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। তাঁর খেলার ধরন বরাবরই শান্ত কিন্তু পরিকল্পিত। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে পৌঁছনো তাঁর কাছে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলেও, তাঁর লক্ষ্য কিন্তু পরিষ্কার—শিরোপা।

তবে প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও হাম্পির অনুরাগীরা হতাশ নন। কারণ তাঁর অভিজ্ঞতা বলে, তিনি ধীরে ধীরে গেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে জানেন। এখনও দ্বিতীয় গেম বাকি, যেখানে তিনি কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলবেন। সেখানেই দেখা যাবে তাঁর আক্রমণাত্মক কৌশলের রূপ।

দেশজুড়ে উৎসাহ

হাম্পির এই সাফল্যের দিকে নজর রাখছেন গোটা দেশ। ভারতীয় দাবা মহলের জন্য এই বিশ্বকাপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একদিকে তরুণ প্রতিভা দিব্যা দেশমুখ ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছেন, অন্যদিকে হাম্পি লড়ছেন নিজের অভিজ্ঞতা আর স্থিতধী কৌশলের ওপর নির্ভর করে।

একই সময়ে দুই ভারতীয় মহিলা সেমিফাইনালে—এ এক ইতিহাস। দুই প্রজন্মের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হলেও, ফাইনালে যদি হাম্পি ও দিব্যার দেখা হয়, তবে তা ভারতীয় দাবা ইতিহাসের এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।

সামনে কী?

সোমবার হবে দ্বিতীয় গেম। সেখানে জয় ছিনিয়ে আনতে হাম্পিকে খেলতে হবে আরও কৌশলীভাবে। খাদেমও জানেন, হাম্পি সহজে ছাড় দেবেন না। ফলে বোর্ডে দেখা যেতে পারে রুদ্ধশ্বাস লড়াই।

এই বিশ্বকাপে হাম্পির যাত্রা শুধু একটি ব্যক্তিগত লড়াই নয়, বরং এটি ভারতের মহিলা দাবার সম্মান ও আশা নিয়ে এক দীর্ঘ পথচলা। তাঁর শান্ত অভিব্যক্তির আড়ালে রয়েছে years of grind, preparation and strategy—যা হয়তো আগামী দিনে ইতিহাস লেখার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসার ছবি, খোলাখুলি রোম্যান্সে মশগুল সোনাক্ষী-জহির

Read more

Local News