হালান্ডের পাঁচ গোল, রোনাল্ডোর নতুন নজির
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে একই দিনে ঘটল একাধিক নাটকীয়তা। ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে হেরে গেল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে নরওয়ের হয়ে একাই পাঁচ গোল করে রেকর্ড গড়লেন আর্লিং হালান্ড। আর পর্তুগালের জয়ে নজির গড়লেন ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হার
লা পাজ়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় খেলতে গিয়ে চাপে পড়ল ব্রাজিল। কার্লো আনচেলোত্তির দল যেন ছন্দই খুঁজে পেল না। গোটা ম্যাচে কার্যকর আক্রমণ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৫ মিনিটে মিগুয়েল তেরসেরোসের একমাত্র গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় বলিভিয়া। এই জয়ে বলিভিয়া উঠে এল প্লে-অফে খেলার সুযোগের মধ্যে, অন্যদিকে ব্রাজিল নেমে গেল দ্বিতীয় স্থান থেকে পঞ্চমে।
আর্জেন্টিনার জন্যও দিনটি সুখের হয়নি। মেসি খেলেননি, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাপট দেখাল ইকুয়েডর। ম্যাচের একমাত্র গোল আসে প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে। নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকোর ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টি কাজে লাগান এনার ভ্যালেন্সিয়া। পুরো ম্যাচেই ইকুয়েডর আধিপত্য বিস্তার করে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস বারবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন, না হলে হার আরও বড় হতো। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি, যার ফলে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
লাতিন আমেরিকার পয়েন্ট তালিকা
এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপর যথাক্রমে ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং বলিভিয়া। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা, পেরু ও চিলি ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে।
হালান্ডের ঝড়
অন্য প্রান্তে ইউরোপে মাঠ কাঁপালেন আর্লিং হালান্ড। ম্যাচের আগে চোট পেয়ে মাথায় সেলাই করতে হয়েছিল তাঁকে, কিন্তু মাঠে নেমে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করে ফেলেন, তারপর আরও দুটি গোল যোগ করেন ঝুলিতে। মোট পাঁচ গোল করে একাই ছিন্নভিন্ন করে দেন মলডোভার ডিফেন্স। নরওয়ের হয়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক জয়, একইসঙ্গে এবারের ইউরোপীয় যোগ্যতা অর্জন পর্বে কোনও দেশের সর্বাধিক ব্যবধানের জয়। থিলো আসগার্ডও চার গোল করেন, এছাড়া ফেলিক্স হোম ও মার্টিন ওডেগার্ড একটি করে গোল যোগ করেন।
রোনাল্ডোর নতুন ইতিহাস
৪০ বছর বয়সেও যেন বয়সকে হার মানাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে পর্তুগালের ৩-২ ব্যবধানের জয়ে গোল করেন তিনি। এর ফলে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তাঁর গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯। এই রেকর্ডে তিনি এখন গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে। মেসির রয়েছে ৩৬ গোল। পর্তুগালের বাকি দুটি গোল করেছেন জোয়াও ক্যানসেলো ও বের্নার্দো সিলভা।
সব মিলিয়ে ফুটবল ভক্তদের জন্য দিনটি ছিল আবেগ, রোমাঞ্চ ও রেকর্ডে ভরা। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হারের ধাক্কা যেমন অবাক করেছে, তেমনি হালান্ড ও রোনাল্ডোর অসাধারণ কৃতিত্ব আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে—ফুটবল মানেই অপ্রত্যাশিত উত্তেজনা।
ওড়িশায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ১৩৯৬ কোটির প্রতারণা মামলায় উদ্ধার কোটি টাকার সম্পদ

