মেহেন্দি-সজ্জায় পলাশকে খাইয়ে দিলেন স্মৃতি, মন ভরল অনুরাগীদের!
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা! রবিবারই চার হাত এক হতে চলেছে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট তারকা স্মৃতি মন্ধানা এবং দীর্ঘদিনের প্রেমিক পলাশ মুচ্ছল–এর। সংলিতে স্মৃতির আদিবাড়িতে এখন উৎসবের আবহ— নাচ, গান, সাজসজ্জা আর দু’জনের ভালোবাসার গল্পে মুগ্ধ ভক্তরা। ইতিমধ্যেই প্রাক্বিবাহের নানা অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে সমাজমাধ্যমে।
মেহেন্দির সাজে রাজকন্যা স্মৃতি, সজ্জায় রুচিশীল সরলতা
শনিবার ছিল মেহেন্দি অনুষ্ঠান। স্মৃতি বেছে নিয়েছিলেন বেগনি রঙের শাড়ি-গাউন— আধুনিক ও ঐতিহ্যের অনবদ্য মেলবন্ধন। ভারী গলার হার, কানের দুল আর চমৎকার টিকলিতে সাজটি হয়ে ওঠে আরও মনোমুগ্ধকর। তবে মুখের সাজ ছিল অনাড়ম্বর— সৌন্দর্য যেন নিজেই ঝলমল করছিল তাঁর চোখেমুখে।
পলাশও কম যাননি— সাদা পাজামার সঙ্গে কুর্তা এবং তার উপর সূচিশিল্পে সজ্জিত জ্যাকেট। বর-কনে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেলে চোখ ফেরানো মুশকিল।
অন্যদিকে, স্মৃতির ননদ পলক মুচ্ছল–এর লেহঙ্গা সাজও নজর কেড়েছে সকলের। সাদা লেহঙ্গায় তার সহজ-সরল শৌখিনতা অনুষ্ঠানের রূপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পলাশের হাতে মেহেন্দি— তাই খাইয়ে দিলেন স্মৃতি!
মেহেন্দির অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ভাইরাল মুহূর্তটি আসে একটি ভিডিও থেকে। দেখা যায়—
পলাশের দুই হাত ভর্তি মেহেন্দি, তাই খাবার তুলে দিচ্ছেন স্মৃতি নিজের হাতে!
দু’জনের সেই হাসিমাখা মুহূর্ত দেখে নেটিজেনরা আপ্লুত। কেউ লিখছেন— “এই ভালোবাসা যেন চিরকাল থাকে।”
আরেকজনের মন্তব্য— “এই যুগলকে দেখলেই প্রেমে বিশ্বাস জন্মায়।”
গায়ে হলুদে এক রঙে রাঙা বর-কনে
শনিবারই সেরে ফেলা হয়েছে গায়ে হলুদ। দু’জনেই সেজেছিলেন হলুদের শুভ রঙে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ছিল হাসিঠাট্টা, আবিরের খেলা, আর দু’জনের চোখেমুখে লাজ-উচ্ছ্বাসের মিশেল।
সঙ্গীতেও ছিল রঙিন আয়োজন। স্মৃতি ও পলাশ একসঙ্গে নেচেছেন ‘অগর ম্যায় কহুঁ’ এবং ‘তেনু লে কে ম্যায় যাওয়াঙ্গা’ গানের সঙ্গে। ভিডিওগুলি দেখে মনে হয়েছে— তাঁরা দু’জনেই যেন নিজেরাই নিজেদের সেরা সঙ্গী।
সংলিতেই বসছে বিয়ের আসর
রবিবার বিকেল থেকেই সংলিতে বসবে বিয়ের মণ্ডপ। এখানেই স্মৃতির বড় হয়ে ওঠা, পড়াশোনা, আর ক্রিকেটের প্রথম পাঠ। তাই বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানও জীবনের এই শহরেই রাখছেন দুই পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর-কনে দু’জনেই পরবেন ডিজাইনার অনিতা ডোঙ্গরের তৈরি বিশেষ পোশাক।
প্রেমের শুরুর গল্প— স্মৃতিকে মাঠেই প্রস্তাব!
দীর্ঘদিনের সম্পর্কে রয়েছেন স্মৃতি ও পলাশ। প্রেমপ্রস্তাবটিও ছিল সিনেমার মতো।
ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম— যেখানে স্মৃতি বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তুলেছিলেন— সেখানেই হাঁটু গেড়ে প্রস্তাব দেন পলাশ। লাল পোশাকে স্মৃতি, স্যুট-প্যান্টে পলাশ— আর অনামিকায় হিরের আংটি পরানোর সেই মুহূর্ত সমাজমাধ্যমে দেখেছিল দেশের অগণিত ভক্ত। পরে পলাশ লিখেছিলেন—
“ও ‘হ্যাঁ’ বলেছে।”

