তিরুপতির হোটেলগুলোতেও বোমাতঙ্ক
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন কয়েকটি হোটেলে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেদিন সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ইমেল আসে, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, “হোটেলে বিস্ফোরক রেখেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সেগুলি সক্রিয় করে হোটেল উড়িয়ে দেওয়া হবে। রাত ১১টার মধ্যে হোটেল খালি করুন।” এই ধরনের হুমকি পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারতের বিভিন্ন বিমান, স্কুল এবং কলেজগুলোতে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটছে। শতাধিক বিমানে বোমাতঙ্কের পরও এই ঘটনাগুলি থামেনি। তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আশপাশের হোটেলগুলিতে এ ধরনের হুমকি আসায় পর্যটক এবং স্থানীয়দের মধ্যে হুলস্থুল পড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমকি মেলের ফলে হোটেলগুলোতে তৎক্ষণাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিমানে বোমাতঙ্কের আবহে হোটেলে বোমা মারার হুমকির ফলে কর্তৃপক্ষ কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এবং ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলগুলো খালি করে সেখানে তল্লাশি শুরু করে। তবে, তদন্ত শেষে জানা যায়, কোথাও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
হুমকি মেলের উৎস খুঁজে বের করার জন্য আইপি অ্যাড্রেস পরীক্ষা করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শতাধিক বিমানে হুমকির খবর পাওয়া গেছে, যা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দ্বারা তদন্তাধীন। এ ধরনের ভুয়ো হুমকি বার্তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।
গত কিছু দিন ধরেই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বিমানে, স্কুলে এবং কলেজে বোমাতঙ্কের খবর ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এখন তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন হোটেলগুলোতেও এই ধরনের হুমকি আসায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গেছে। তিরুপতি একটি প্রধান তীর্থস্থান, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন। ফলে এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তবে এই ধরনের হুমকি আসার পরেও পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা তাদের কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ দ্রুততার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। হোটেল কর্তৃপক্ষেরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিরুপতি মন্দির এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে, যাতে পর্যটকরা শান্তিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
বিমান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় সৃষ্ট আতঙ্কের মধ্যে তিরুপতির ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করা যায়, এই ধরনের ঘটনায় যত দ্রুত সম্ভব শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে এবং জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দূর করা সম্ভব হবে।
এভাবে একের পর এক বোমাতঙ্কের খবর দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
4o mini

