বিমান দুর্ঘটনার পর তিন দিন নিখোঁজ!
অহমদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অবশেষে শনাক্ত হল গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ। ঘটনার তিন দিন পর হাসপাতালের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল এই পরিচয়। মৃতদেহ এতটাই বিকৃত হয়েছিল যে চেহারায় তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি—শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ নমুনা।
লন্ডনের উদ্দেশে উড়ানে চেপেছিলেন রূপাণী
১২ জুন, বৃহস্পতিবার। এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 নম্বর বিমানটি উড়তে না উড়তেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বিমানে ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য। যাত্রীদের মধ্যেই ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী, যিনি যাচ্ছিলেন লন্ডনে তাঁর কন্যার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু রানওয়ে ছাড়ার কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন জ্বলে ওঠে।
শনাক্ত হল ৩২টি দেহ, রূপাণীর দেহ পরিবারকে হস্তান্তর
ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হওয়া দেহগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ঝলসে গিয়েছিল এমনভাবে যে, চোখে দেখে শনাক্ত করা অসম্ভব ছিল। গুজরাত প্রশাসন প্রথম দিনই জানিয়েছিল, ডিএনএ মিলিয়েই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে ৩২টি দেহ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের হাতে। রূপাণীর দেহও সেই তালিকায়।
পরিবার শুরু থেকেই যোগাযোগ রেখেছিল
রূপাণীর পরিবার দুর্ঘটনার প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালে যোগাযোগ রেখেছিল। আশা ছিল, যদি কিছু চিহ্ন বা প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তবে সেসব কিছুই পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত পরিবার থেকে দেওয়া ডিএনএ নমুনা ও মৃতদেহের নমুনা মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, এটি রূপাণীর দেহ।
প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি
গুজরাত ও রাজস্থানের বহু বাসিন্দা ছিলেন বিমানে। মৃতদেহ শনাক্ত এবং পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে গঠন করা হয়েছে ২৩০টি আলাদা দল। অ্যাডিশনাল সিভিল সুপারিনটেন্ডেন্ট রজনিশ পটেল জানিয়েছেন, বহু দেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে শনাক্তকরণ অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী জানা গিয়েছে?
- মোট ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন নিহত হয়েছেন।
- একমাত্র জীবিত যাত্রী, ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ, এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
- বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি সম্ভাবনার তদন্ত চলছে: ডানার যান্ত্রিক ত্রুটি, টেক-অফের সময় অতিরিক্ত ওজন, অথবা সিস্টেম ফেইলিওর।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় যে বহু পরিবার চিরতরে শোকস্তব্ধ হয়ে গেল, তা বলাই বাহুল্য। গুজরাতের রাজনৈতিক মহলেও রূপাণীর মৃত্যু গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।
ভারতে আসছে স্যামসাং Galaxy S25 সিরিজের One UI 8 বিটা ভার্সন! কী কী থাকছে এই আপডেটে?

