বিতর্কের মাঝেই আধ্যাত্মিকতার খোঁজে শিল্পা-রাজ!
বলিউড তারকা শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা আবারও শিরোনামে। তবে এ বার কারণ শুধুই বিতর্ক নয়, সঙ্গে জড়িয়ে আছে আধ্যাত্মিকতার গল্পও। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় তাঁদের নাম জড়ানোর পর হঠাৎই দেখা মিলল তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দজি মহারাজের আশ্রমে। এই সফরের একটি ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
সম্প্রতি ৬০ বছরের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, শিল্পা ও রাজ মিলে তাঁকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছেন। অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখাও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই উত্তাল পরিস্থিতিতেই শান্তির খোঁজে দু’জনে পৌঁছন প্রেমানন্দজির সান্নিধ্যে। সাদা পোশাকে, শান্ত মুখে তাঁরা গুরুদেবের সামনে বসে মন দিয়ে শুনছিলেন তাঁর বাণী—যেন বাইরের কোলাহল থেকে একেবারেই দূরে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে রাজ কুন্দ্রাকে শোনা যায় এক আবেগঘন প্রস্তাব রাখতে—তিনি নিজের একটি কিডনি প্রেমানন্দজিকে দান করতে চান। তাঁর কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি। জবাবে প্রেমানন্দজি হাসিমুখে বলেন, “ঈশ্বর যত দিন না চাইছেন, তত দিন এমন কিছু ঘটবে না।” গুরু-শিষ্যের এই কথোপকথন অনেক অনুরাগীর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
এই দিন শিল্পা ও রাজ দীর্ঘ সময় কাটান আশ্রমে। তাঁদের চোখে-মুখে ফুটে উঠছিল এক ধরনের প্রশান্তি। আলোচনার এক পর্যায়ে শিল্পা শেট্টি প্রশ্ন করেন, “রাধার নাম কীভাবে জপ করা উচিত?” উত্তরে প্রেমানন্দজি জানান, রাধার নাম জপ করলে জীবনের নানা অশান্তি ও দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাঁর মতে, যে কোনও মন্ত্রই মনকে শান্ত করে এবং মানুষকে অন্তর্গত শক্তি দেয়।
গুরুদেবের বাণীতে মন দিয়ে শোনার সময়, শিল্পা-রাজ যেন সাময়িকভাবে ভুলে গিয়েছিলেন তাঁদের চারপাশের বিতর্ক ও আইনি জটিলতা। এই সফরে তাঁরা যেন প্রকাশ করলেন, জীবনের যত চাপই আসুক না কেন, অন্তরে শান্তি খোঁজার প্রয়োজন সর্বদাই থেকে যায়।
শেষ পর্যন্ত, এই ঘটনা শুধু একটি আধ্যাত্মিক সফরের গল্প নয়, বরং এটা প্রমাণ করে—খ্যাতি, সম্পদ বা বিতর্ক যাই থাকুক, মানুষের গভীরে থাকে প্রশান্তি ও আত্মিক শক্তির চাহিদা। হয়তো সেই কারণেই, জনসমালোচনার ঝড়ের মাঝেও তাঁরা খুঁজে নিলেন এক আশ্রয়—যেখানে প্রশ্নের চেয়ে বেশি ছিল উত্তর, আর কোলাহলের চেয়ে গভীর ছিল নীরবতা।
শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী? ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

