Tuesday, April 1, 2025

বিজেপি-এডিএমকে জোট নিয়ে নতুন জল্পনা: শর্তই কি আলোচনার মূল বিষয়?

Share

বিজেপি-এডিএমকে জোট নিয়ে নতুন জল্পনা!

তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং এডিএমকে প্রধান ইকে পলানীস্বামীর বৈঠকের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, বিজেপির সঙ্গে এডিএমকের ফের জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে। যদিও পলানীস্বামী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এবং জোট সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

বিজেপি-এডিএমকে-র বিচ্ছেদের কারণ

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, বিজেপির তামিলনাড়ু শাখার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন পলানীস্বামী। বিশেষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপড়েন এবং মতাদর্শগত পার্থক্যই ছিল এই বিচ্ছেদের প্রধান কারণ।

অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক: কী নিয়ে কথা হল?

মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে পলানীস্বামীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। এডিএমকে নেতারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে মূলত তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিজেপির সঙ্গে ফের জোট গঠনের কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

পলানীস্বামীর দাবি, “আমরা অমিত শাহের কাছে আমাদের মৌলিক শর্তগুলি স্পষ্ট করেছি। বিদ্রোহী এডিএমকে নেতারা যদি এনডিএ-তে স্থান পান, তাহলে তা আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

শর্তের পেছনে কারা?

এডিএমকে-র ‘বিদ্রোহী নেতা’ বলতে মূলত দুই ব্যক্তিকে বোঝানো হচ্ছে— প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পন্নীরসেলভম এবং এএমএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা টিটিভি দীনাকরণ। ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দুই নেতা বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে লড়েছিলেন, যা এডিএমকে-র সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বাড়িয়েছিল। পলানীস্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই দুই নেতাকে বাদ দিলে এবং তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নিলে তবেই বিজেপির সঙ্গে জোট সম্ভব।

ভোটের হিসাব-নিকাশ

আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোট রাজ্যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিজেপিরও চায় রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি মজবুত করতে। তাই বিজেপি-এডিএমকে জোট গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

জোটের ভবিষ্যৎ

এখন সব নজর পলানীস্বামী এবং বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পলানীস্বামীর স্পষ্ট বার্তা, দলের শর্ত মেনে নিলে এবং বিদ্রোহী নেতাদের দূরে সরিয়ে দিলে বিজেপির সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা। শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এই জোট গঠিত হবে কি না, তা সময়ই বলবে।

এই মুহূর্তে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই পক্ষই কৌশলগতভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে, এবং পরবর্তী বৈঠকগুলিই ঠিক করবে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক সমীকরণ।

মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন পুতিন! দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

Read more

Local News