Sunday, November 30, 2025

বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়: কেন্দ্র, কমিশন, দিল্লি নেতৃত্ব— কারও ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা

Share

বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়: কেন্দ্র!

তৃণমূলকে হারিয়ে রাজ্যে পরিবর্তন আনাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য থেকে “ধারে কাছে পৌঁছতে পারেননি”— সরাসরি স্বীকার করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি শুধু বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নয়, কেন্দ্রীয় সরকার, ইডি-সিবিআই, নির্বাচন কমিশন, এমনকি “দিল্লির অবাঙালি বিজেপি নেতৃত্ব” নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


🔥 অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য: এক নজরে

ইস্যুসাংসদের বক্তব্য
বিজেপি-র ব্যর্থতা“মমতাকে সরানোর মতো জায়গাতেই পৌঁছতে পারিনি”
কেন্দ্রের ভূমিকাবাংলার পরিস্থিতি বদলাতে কেন্দ্র ইচ্ছুক নয়
৩৫৫ ধারাবাংলায় ৩৫৫ ধারা কেন লাগু নয়? এটা বড় প্রশ্ন
ভোট পরিচালনাপুলিশ কেন্দ্রের হাতে নিয়ে ভোট না হলে বদল আসবে না
দিল্লি নেতৃত্বহিন্দি বলয়ের নেতা এনে বাংলায় ভোট হবে না
কেন্দ্রীয় সংস্থা (CBI/ED)তদন্তে বড় নেতাদের ছোঁয়া হচ্ছে না, দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে
নির্বাচন কমিশনFIR নির্দেশের পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কমিশন নীরব কেন?

🧠 “দিল্লির নেতারা বাংলার মন বোঝেন না”

সাংসদের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য —

“উত্তর ভারত ও বাংলার ভাবনা এক নয়। বাংলায় হিন্দি বলয়ের নেতা এনে ভোট জেতা যাবে না।”

এটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাঙালি আবেগ ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। বিশেষ করে যখন রাজ্যে আঞ্চলিক আত্মপরিচয় ও স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

(রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জানতে পড়ুন 👉 https://bangla.technosports.co.in)


🚨 কেন্দ্রীয় সংস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন

অভিজিতের অভিযোগ—

  • ভোটার তালিকা কারচুপির FIR-এর নির্দেশ কমিশন দিলেও রাজ্য তা কার্যকর করেনি, কমিশনও নীরব
  • ED-CBI বড় নেতা ধরতে দ্বিধাগ্রস্ত
  • সংস্থার কিছু কর্তা বিজেপি-বিরোধী দলের ঘনিষ্ঠ বলেও ইঙ্গিত

🔗 নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা: https://eci.gov.in
🔗 CBI অফিসিয়াল: https://cbi.gov.in
🔗 ED অফিসিয়াল: https://enforcementdirectorate.gov.in


❓ বিজেপি কি তৃণমূলকে সরাতে চায়?

এই প্রশ্নে সাংসদ উত্তর দিয়েছেন রহস্যঘেরা ভঙ্গিতে—

“এটা গভীর প্রশ্ন, আজ যাব না… তবে কিছুদিন বাদে হয়তো যাব।”

তাঁর এই বক্তব্যকে অনেকেই রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি ও নেতৃত্ব কাঠামোয় ফাটলের বার্তা হিসেবেই দেখছেন।


🏛️ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মন্তব্য—

“যথাযোগ্য জায়গায় আলোচনা হওয়া উচিত।”

এক কথায়— সরাসরি সমর্থনও নয়, বিরোধিতাও নয়। যা স্পষ্ট করে দেয়, বিষয়টি দলের জন্য অস্বস্তিকর


✍️ শেষ কথা

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য এখন শুধু তৃণমূল-বিজেপি লড়াই নয়—
এটি হয়ে উঠেছে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের নেতৃত্ব, হিন্দি বলয় বনাম বাঙালি আবেগ, সংস্থা বনাম নিরপেক্ষতা বিতর্ক।

Read more

Local News