‘দাদা সংস্কৃতি’ নিয়ে সরব তৃণমূল-কন্যা রাজন্যা হালদার
দক্ষিণ কলকাতার এক কলেজে ছাত্রীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার এবার দলীয় অভ্যন্তরে শোরগোল ফেলে দিলেন। তিনি তৃণমূলেরই কিছু সংগঠনের ফাংশনরিচারদের বিরুদ্ধে অস্বস্তিকর অভিযোগ তুলেছেন, যার কেন্দ্রীয় বিষয় হল—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তাঁর কিছু বিকৃত ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সংগঠনভিত্তিক ‘দাদা সংস্কৃতি’ প্রসারিত হওয়া ।
রাজন্যার দাবি, “কিছু ফাংশনরিচার AI‑এর মাধ্যমে আমার ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।” সেটি সরাসরি জানানো হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। সে সময়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটিতে তাঁর বক্তব্য ছিল, “যেমন মনোজিত মিশ্রদের যুগে ‘দাদা সংস্কৃতি’ প্রচলিত ছিল—পদবির লোভে দাদা সম্ভ্রমও নষ্ট করতেন—ওই সংস্কৃতিটা যেন বন্ধ করা হয়। এখনই সময়ে পদক্ষেপ নিন।” ।
রাজন্যা উল্লেখ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এই AI‑ভিত্তিক আক্রমণ ও দাদা সংস্কৃতির বিরূপ সংস্কার সম্মিলিতভাবে এক হুমকি। তাই তিনি চাইছেন দলীয় শৃঙ্খলা এবং ব্যক্তিগত সম্মান রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই বিষয়টিকে “পাড়ার বাচ্চাদের কর্মশক্তির বিষয়” হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন, এবং সাফ বলেছেন, “ছাত্ররাজনীতিতে যারা সক্রিয়, তাঁদেরই বিষয়, তারা এ উত্তর দিবে।” ।
কেন প্রাসঙ্গিক?
- AI‑ভিত্তিক ছবি বিকৃতি: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুনাম নষ্ট করা একটি আন্তর্জাতিক চিন্তার বিষয়।
- ‘দাদা সংস্কৃতি’: সংগঠিত ছাত্রদের মধ্যে ক্ষমতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার—যা রাজনীতিতে বিরূপ সংস্কৃতি রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ।
- রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ: তৃণমূল ছাত্র সংঘঠনের এক শাখার নেত্রী দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে—মূল্যায়নমূলক একটি সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে।
ভবিষ্যতের রাস্তাপথ
- রাজনৈতিক ডুব পড়ার আশংকা: AI‑ভিত্তিক তথ্য বিকৃতির মতো ঘটনা দলের ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
- ছাত্ররাজনীতিতে শৃঙ্খলা প্রয়োজনীয়: অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠন শৃঙ্খলাবদ্ধ না হলে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের বিনাশ শুরু হতে পারে।
- রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নীতির প্রশ্ন: প্রযুক্তির অপব্যবহার—বিজ্ঞান, সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রতিরোধ ও এ ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
উপসংহার:
রাজন্যা হালদারের এই অভিযোগ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং ছাত্ররাজনীতি ও ডিজিটাল রাজনীতির যুগে দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা, সম্মানবোধ ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় কেন্দ্রস্থলে উঠে এসেছে। এখনই সময়—যেন কোনও দলীয় ‘দাদা সংস্কৃতি’ আবার বেড়ে না ওঠে এবং প্রযুক্তি‑ভিত্তিক অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ওঠে।

