সোমবার পঞ্জাব যাচ্ছেন পূর্ণমের স্ত্রী!
পাক রেঞ্জারদের হেফাজতে থাকা বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউকে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের দফায় দফায় বৈঠক চললেও এখনও সুরাহা মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে, পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ একরাশ উদ্বেগ নিয়ে সোমবার পঞ্জাবের উদ্দেশে রওনা দেবেন। তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে দমদম বিমানবন্দর থেকে পঠানকোটের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। প্রথমে চণ্ডীগঢ়, তারপর সেখান থেকে পঠানকোটে পৌঁছাবেন।
গত বুধবার, ভুলবশত পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন পূর্ণম। পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক হওয়ার পর থেকে তাঁর মুক্তির জন্য বিএসএফ ও পাকিস্তান বাহিনীর মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও এখনও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসেনি। এই অবস্থায়, পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ আশায় এবং চিন্তা নিয়ে পঞ্জাব যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “বিএসএফ আধিকারিকেরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তবে আমি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নই। যদি পঠানকোটে গিয়ে কোনো সমাধান না হয়, তাহলে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সাহায্য নেব।”
রবিবার, পূর্ণমের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তাদের আশ্বাসে কিছুটা শান্তি পেলেও, রজনীর উদ্বেগ কাটছে না। তিনি বলেন, “বিএসএফের কর্মকর্তারা আমাকে বলছেন যে, এমন ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে, তবে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে।”
রজনী জানান, বিএসএফের সদস্যরা তাদের মানসিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন এবং যতটা সম্ভব পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। “তারা বলেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সত্যি বলতে, আমি এখনো স্বস্তিতে নেই,” বললেন রজনী।
এছাড়া, রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফোনে পূর্ণমের পরিবারকে সমর্থন দিয়েছেন। অর্জুন সিংহ পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউকে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলিয়েছেন, যা পরিবারের সদস্যদের কিছুটা মানসিক শান্তি দিয়েছে।
পূর্ণমের অজান্তে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে প্রবেশের ঘটনা ঘটে যখন তিনি একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময়ে তিনি ভুলক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। এখন, রজনী ও তার পরিবার একটানা চেষ্টা করে যাচ্ছেন পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার জন্য, তবে হতাশা ও আশার মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব চলছে।
রজনী জানাচ্ছেন, “আমি শুধু চাই, আমার স্বামী দ্রুত ফিরে আসুক। আশা করি পঞ্জাবে গিয়ে আমরা কিছু ভালো খবর পাব।”
একটিমাত্র ছবিতে অভিনয়! কেন অভিনয় ছাড়লেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে মেঘা?