দিলজিতের সম্পত্তি কত?
পঞ্জাবের এক ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করা দিলজিৎ দোসাঞ্জের জীবনযাত্রার শুরু ছিল খুবই সাধারণ। তার বাবা ছিলেন একটি বাসের চালক, আর শৈশব কাটিয়েছিল আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে। তবে এর পরেও দিলজিৎ নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে সংগ্রাম করেছেন এবং আজ তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিত একজন তারকা। ৬ জানুয়ারি তার ৪১তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন, আর এই উপলক্ষে তার জীবনের সংগ্রাম এবং অর্জনগুলি এক নজরে দেখা যাক।
দিলজিৎ মাত্র ১৬ বছর বয়সে গান গাওয়ার শুরু করেন, আর স্থানীয় গুরুদ্বারে তিনি নিয়মিত গান গাইতেন। তার প্রথম উপার্জনটি এসেছিল ১৮ বছর বয়সে, যখন তিনি একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাত্র ৩,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এটি ছিল তার কর্মজীবনের শুরু, এবং এই সামান্য অঙ্ক থেকেই দিলজিৎ তার কর্মজীবনের দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেন। সে সময়ের সেই ছোট্ট পারিশ্রমিক তাকে সঙ্গীতের প্রতি তার প্রেম ও বিশ্বাস আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল। ধীরে ধীরে নিজের সঙ্গীত ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন, এবং ২০০৪ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম অ্যালবাম, ‘ইশক উড়া অদা’।
তবে দিলজিতের পরিচিতি আসতে শুরু করে তার তৃতীয় অ্যালবাম ‘স্মাইল’ থেকে। এই অ্যালবামটি প্রযোজনা করেছিলেন সুখপাল সুখ, এবং এতে দিলজিতের কিছু জনপ্রিয় গান যেমন ‘নাচ দিয়া অলরান কুয়াইরাঁ’ এবং ‘পগ্গান পোছভিয়ান ওয়ালে’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই গানগুলো তার খ্যাতি ছড়িয়ে দেয় এবং সঙ্গীত জগতে তার অবস্থান শক্ত করে।
গান গাইতে গাইতে দিলজিৎ অভিনয়ে পা রাখেন, ২০১১ সালে ‘দ্য লায়ন অফ পঞ্জাব’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। যদিও এই সিনেমাটি বক্স অফিসে সফল হয়নি, তবে দিলজিতের গানটি দর্শকদের মধ্যে অনেক সাড়া ফেলেছিল। এরপর থেকেই তিনি অভিনয় জগতেও তার স্থান পাকা করেন। ‘গুড নিউজ’, ‘উড়তা পঞ্জাব’, ‘অমর সিংহ চমকিলা’ এবং ‘ক্রু’ সহ বহু ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
বর্তমানে দিলজিৎ একজন আন্তর্জাতিক তারকা। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত ‘কোচেলা’ উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিশ্ব মঞ্চে একাধিকবার ভারতকে গর্বিত করেছেন। তার পঞ্জাবি সঙ্গীত এবং অভিনয়ের জন্য তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তে পরিচিত।
যখন দিলজিৎ তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন তার পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ৩,০০০ টাকা, কিন্তু আজ তিনি একজন প্রাইভেট জেটের মালিক। তার সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। ২০১১ সালের ‘অমর সিংহ চমকিলা’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি ৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। তার সাফল্যের এই গল্প কেবল তার কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মানসিকতার প্রতিফলনই নয়, বরং এটি একটি অনুপ্রেরণা, যে মানুষ যদি নিজের লক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন, তবে সাফল্য তাদের পিছনে আসবেই।
দিলজিতের জীবনযাত্রা তার অভাবনীয় উন্নতি ও সংগ্রামের গল্প। ৩,০০০ টাকা থেকে আজ তার বিশাল সাফল্য তার জন্য একটি সত্যিকারের জয়যাত্রার গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে আট মাসের শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের সন্ধান: কী জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর?