Friday, January 31, 2025

বাবার হামলাকারী ধরা পড়তেই সইফকে দেখতে জেহ্‌-তৈমুর হাসপাতালে! কী পরিবর্তন এল তাদের জীবনে?

Share

বাবার হামলাকারী ধরা পড়তেই সইফকে দেখতে জেহ্‌-তৈমুর

মুম্বইয়ের বান্দ্রার অভিজাত পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে পুলিশের তৎপরতায় মাত্র তিন দিনের মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম, যিনি মুম্বইয়ের ঠাণে থেকে ধরা পড়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় পুলিশের ধারণা, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। গত রবিবার, পুলিশ এই খবর জানিয়ে জানিয়েছে যে, হামলাকারী বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল, কিন্তু শেষমেশ ধরা পড়েছে।

এই ঘটনার পরেই সইফ আলি খান এবং তাঁর পরিবারে কিছু পরিবর্তন আসে। ঘটনার শক সামলে, করিনা কপূর খান তাঁদের দুই ছেলে, তৈমুর ও জেহকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। নিরাপত্তার সুরক্ষা ঘেরাটোপে, করিনা একাধিক পরিচারিকার সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছান, যেখানে সইফ চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এটি শুধু একটি পরিবারের জন্য সংকটময় সময় ছিল না, বরং তা সইফ ও করিনার ব্যক্তিগত জীবনেও নতুন এক মোড় আনে। করিনার দুই ছেলে, বিশেষ করে তৈমুর, যিনি এখন ৮ বছরের, ছিলেন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। নিজের বাবাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ছোটো ছেলে জেহও কিছুটা স্তব্ধ হয়ে ছিল, কারণ এমন পরিস্থিতিতে তাদের সামনে বাবার মতো একজন শক্তিশালী পুরুষকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা, তাদের জন্য একটা বড় পরিবর্তন ছিল।

করিনার সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার পর, দু’ভাইয়ের মধ্যে, সইফকে দেখতে গেলেও কোনো চাহিদা বা এক্সপ্রেশন দেখাতে তারা অস্বস্তি বোধ করছিলেন। ক্যামেরার সামনে এই মুহূর্তে তারা যেমন হাসিমুখে থাকতে অভ্যস্ত, তেমনি হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় তাদের মুখে ছিল এক অজানা বিষাদ। সইফের অসুস্থতা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সেই হাসিমুখ এখন আর নেই।

এই প্রথম, তৈমুরের মতো সন্তানদের জীবনে এমন শোকাতুর মুহূর্ত আসে। সারা জীবনের সব মুহূর্তে যারা হাসিখুশি, সানন্দে ক্যামেরায় পোজ দেয়, তাদের এমন কঠিন সময়, যেখানে তারা নিজেদের প্রিয়জনকে দুর্বল অবস্থায় দেখছে, সেই বিষয়টি পরিবারে গভীর প্রভাব ফেলেছে। যদিও, পরিবারের সদস্যদের জন্য, বিশেষ করে করিনার কাছে, এ এক কঠিন সময়ের চিত্র।

এমন ঘটনায় সইফ এবং করিনা জানালেন, তারা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে যাতে সামান্য হলেও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তৈমুর, যদিও একটু বড়, কিন্তু বাবার অসুস্থতা নিয়ে যে চাপের মধ্যে পড়েছিল, তা তাঁর শান্ত স্বভাবেও কিছুটা প্রকাশ পেয়েছিল। অন্যদিকে, জেহ, যে ছোট এবং ক্যামেরার সামনে হাস্যোজ্জ্বল থাকে, তারও মনের মধ্যে অজানা এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল।

যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, এই দুর্ঘটনা এবং সইফের অসুস্থতার কারণে তাঁদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। পরিবারের সদস্যদের জন্য এই সময়টা অনেকটা চ্যালেঞ্জের মতো ছিল, তবে তারা একে অপরকে সাহস দিয়ে, পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে।

এমন কঠিন মুহূর্তে সইফ আলি খান, করিনা কপূর, তৈমুর এবং জেহ-এর মতো একটি পরিবার যে ধরনের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা শুধুমাত্র তারা নিজেদের পরিবারকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে। যদিও সন্তানদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তাদের জীবনকে আরও গভীরভাবে সম্পর্কিত করেছে।

‘চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে’: বিয়ের আসরে নাচে মাতলেন রুবেল! লাজুক শ্বেতা

Read more

Local News