বান্দ্রা স্টেশনে পদপিষ্টের
ট্রেন ধরার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ির জেরে মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে পদপিষ্টের একটি ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় কমপক্ষে ন’জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ৫টা ৫৬ মিনিট নাগাদ বান্দ্রা স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বান্দ্রা-গোরক্ষপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা একত্রে ওঠার চেষ্টা করতে থাকেন। এই সময়েই ঘটে বিপত্তি, এবং হুড়োহুড়িতে অনেক যাত্রী প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেওয়ালি উপলক্ষে অনেকেই বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরতে আসেন। এই সময় অসংরক্ষিত কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়, যার ফলস্বরূপ ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। প্ল্যাটফর্মে ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান অনেকে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তাঁদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা স্থিতিশীল, কিন্তু দু’জনের অবস্থার জন্য আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যাত্রীরা ট্রেন ধরার জন্য ঠেলাঠেলি করছেন। কিছু ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্ল্যাটফর্মে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন কয়েকজন। তাঁদের উদ্ধার করতে রেলপুলিশের কর্মীরা এগিয়ে আসেন এবং অন্য যাত্রীরা উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন। আহতদের স্ট্রেচারে করে ভিড় থেকে সরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছে সাবির আব্দুল রহমান, পরমেশ্বর গুপ্তা, রবীন্দ্র চুমা, রামসেবক রবীন্দ্র প্রজাপতি, সঞ্জয় কাঙ্গে, দীবাংশু যাদব, মহম্মদ শরীফ শেখ, নূর মহম্মদ শেখ এবং ইন্দ্রজিৎ সাহানি। সকলেই গোরক্ষপুরের বাসিন্দা।
এই দুর্ঘটনা আবারও শহরের ট্রেন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠেছে। দুর্ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেন ধরার তাড়াহুড়ো যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপের প্রয়োজন।
4o mini

