বাধা পেরিয়ে ‘ধুরন্ধর’–এর জয়যাত্রা
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, বিতর্কের ঝড় এবং আইনি জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে মুক্তি পেল আদিত্য ধর পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির দিন থেকেই চারদিক থেকে আসছে প্রশংসার ঝড়। সেই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হয়েছেন ছবির পরিচালক আদিত্যের স্ত্রী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম। স্বামীর দীর্ঘ পরিশ্রম, লড়াই এবং নিষ্ঠার সাক্ষী হয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান গভীর অনুভূতির কথা।
ছবিটির উপর প্রথম থেকেই নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, অতিরিক্ত হিংসা দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে দাবি করা হয়, অনুমতি ছাড়াই তুলে ধরা হয়েছে বীর শহিদ মেজর মোহিত শর্মার জীবন। শহিদের বাবা–মা আদালতে ছবি নিষিদ্ধ করার আবেদনও জানান। সব বাধা, বিতর্ক এবং চাপ পেরিয়ে ছবি মুক্তির দিন দেখল আলো। তাই স্বামীর কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ইয়ামি।
ছবি মুক্তির পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়ামি লেখেন,
“আজ সত্যিই ‘ধুরন্ধর’–এর দিন। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং আমি গর্বিত যে তাঁদের অনেককে আমি নিজের পরিবার বলতে পারি।”
স্বামী আদিত্যের উদ্দেশে তাঁর আরও আবেগঘন বক্তব্য—
“আদিত্য, তুমি এই ছবির পিছনে সত্যিই রক্ত–ঘাম ঝরিয়েছ। তোমার চোখের জল, তোমার নিষ্ঠা এবং হৃদয়ের সব আবেগ এই ছবির প্রতিটি ফ্রেমে ধরা আছে। আমার মনে ভেসে উঠছে হাজারো অনুভূতি… তোমরাই সত্যিকারের ধুরন্ধর।”
ছবি মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়াও আসতে বেশি সময় লাগেনি। নেটমাধ্যমে বহু দর্শক দাবি করেছেন, রণবীর সিংহ তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। বিশেষ করে চরিত্রের গভীরতা এবং আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে রণবীরের দক্ষতা মন জিতে নিয়েছে দর্শকদের।
ছবির দুটি অর্ধ—একটি এখন, একটি আগামী বছর
‘ধুরন্ধর’–এর কাঠামো বেশ অভিনব। এটি দুই ভাগে মুক্তি পাচ্ছে।
- প্রথম অর্ধ মুক্তি পেয়েছে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, যার দৈর্ঘ্যই যথেষ্ট বড়।
- দ্বিতীয় অর্ধ মুক্তি পাবে ১৯ মার্চ ২০২৬।
ফলে দর্শকদের উত্সাহ আরও বেড়েছে, কারণ প্রথম অর্ধ শেষ হয়েছে এমন এক জায়গায়, যা পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য দারুণ প্রত্যাশা তৈরি করেছে।
টাকা দিয়ে রিভিউ—বলিউডে অস্বস্তির ইঙ্গিত
ছবি মুক্তির আগে ইয়ামি আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি—বলিউডে টাকা দিয়ে ইতিবাচক রিভিউ কেনার প্রবণতা বাড়ছে। টাকা না দিলে নাকি নেতিবাচক সমালোচনা করানো হয়। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়।
অভিনেতা–অভিনেত্রীদের তালিকা
ছবিতে রয়েছে সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তান–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট।
- অর্জুন রামপাল অভিনয় করেছেন এক আইএসআই আধিকারিকের চরিত্রে।
- এ ছাড়া রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা।
ইয়ামির শেষ বার্তা—দেশের প্রতি শ্রদ্ধা
নিজের পোস্টের একেবারে শেষে ইয়ামি লেখেন—
“জয় হিন্দ।”
তিনি জানান, এখন ছবির মালিক একমাত্র দর্শক, তাঁরাই ঠিক করবেন ছবির প্রকৃত শক্তি।

