বিতর্কের কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ!
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিতর্ক যেন নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে তাঁকে। বিক্ষোভরত তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে “বাড়িতে ঢুকে মারব, না হলে টেনে চৌরাস্তায় মারব”—এই বক্তব্যের পর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তবে, এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র দুঃখপ্রকাশ করেননি দিলীপ। বরং তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই মেজাজেই তিনি থাকবেন!
⚡ কী ঘটেছিল খড়্গপুরে?
শুক্রবার খড়্গপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রাস্তা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানেই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা!
📢 স্থানীয়দের একাংশ, বিশেষ করে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল—“সাংসদ থাকাকালীন তো এলাকায় দেখা যেত না, এখন কেন রাস্তার উদ্বোধন করতে এলেন?”
🎤 উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন—“টাকা দিয়েছি, কারও বাপের টাকা নয়!”
এই বক্তব্য শুনেই এক মহিলা সরাসরি প্রশ্ন তোলেন—“আপনি কেন বাপ তুলে কথা বলছেন?”
⚡ সঙ্গে সঙ্গেই দিলীপ ঘোষের জবাব—“চোদ্দোপুরুষ তুলব!” এরপর তিনি আরও বলেন—“বেশি ন্যাকামি করলে গলা টিপে দেব!”
এই কথাগুলো ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
🤔 দিলীপ ঘোষ কি ক্ষমা চাইবেন?
না, একেবারেই না! বরং শনিবার সকালে খড়্গপুরে চায়ের আড্ডায় বসে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মেজাজ হারিয়ে তিনি কিছু বলেননি, বরং পরিকল্পিতভাবেই বলেছেন এবং যা বলেছেন, সেটাই ঠিক বলেছেন।
💬 তাঁর বক্তব্য—
🗣️ “আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, কেউ যদি বেয়াদবি করতে আসে, সে যে দলেরই হোক, আমি তাকে বাড়ি থেকে টেনে এনে রাস্তায় মারব!”
তিনি আরও বলেন—
🔥 “দিলীপ ঘোষ কারও বাপের খায় না। কারও জমিদারিতে পা দেয় না।”
⚠️ “রাজনীতি করতে হলে ভদ্রভাবে করো, ছ্যাবলামি করলে আমরাও জানি কীভাবে ‘সিধে’ করতে হয়।”
🚀 বিজেপির প্রতিক্রিয়া কী?
এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে—বিজেপি কি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে?
😏 দিলীপ ঘোষের উত্তর—“দিলীপ ঘোষের পার্টি লাগে না!”
অর্থাৎ, তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের চেয়ে নিজের সিদ্ধান্তকেই বেশি গুরুত্ব দেন।
🔍 কেন বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ?
দিলীপ ঘোষ যে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন, সেটি তাঁর এমপি ল্যাডের টাকায় তৈরি। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়ক প্রদীপ সরকার দাবি করেন, রাস্তার কাজ তাঁর উদ্যোগেই হয়েছে।
এ নিয়েই দিলীপ ঘোষ সোজাসাপ্টা বলেন—
🛑 “আমি রাস্তা করেছি, বোর্ডে আমার নাম লেখা আছে। দম থাকলে কেউ ড্রেন করে দেখাক!”
🌊 রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া কেমন?
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
⚠️ “যতক্ষণ না দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তিনি যেখানে যাবেন, সেখানেই বিক্ষোভ চলবে।”
প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকারের মন্তব্য—
🗣️ “এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। খড়্গপুর কখনোই এই সংস্কৃতি মেনে নেবে না।”
কিন্তু এসব নিয়ে দিলীপ ঘোষের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট—তিনি তাঁর ‘মেজাজ’ বদলাবেন না!
📌 শেষ কথা
🔥 দিলীপ ঘোষের ‘বাড়িতে ঢুকে মারব’ মন্তব্য এখন রাজ্যের রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
🤷♂️ তিনি ক্ষমা চাইবেন না, বরং বলেছেন—এভাবেই তিনি রাজনীতি করবেন।
🚨 তৃণমূল পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, কিন্তু দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেই স্পষ্ট—তিনি বিতর্কে থাকতে ভালবাসেন, এবং এতে তাঁর কিছুই যায় আসে না!
আগামী দিনে এই বিষয় নিয়ে আরও রাজনৈতিক টানাপড়েন দেখা যাবে, তবে একটাই কথা স্পষ্ট—দিলীপ ঘোষের ‘মেজাজ’ বদলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই! 🔥
বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন