সইফ-কাণ্ডে সন্দেহ প্রকাশ আর এক অভিনেতার
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে প্রবেশ করেছিলেন সইফ আলি খান, পিঠে গভীর ক্ষত। তার উপর ধারালো ছুরির আঘাত, মনে হচ্ছিল এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায়, যখন সইফ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তখন তাঁর চেহারা দেখে সবাই চমকে ওঠেন। হাতের কব্জি ও ঘাড়ে ক্ষত সারানোর জন্য বাঁধা ব্যান্ডেজের বাইরে পুরো শরীরে কোনও বড় ক্ষতের চিহ্নই দেখা যায়নি। বরং সইফের চেহারা ছিল একেবারে ঝকঝকে, পরিষ্কার কামানো দাড়ি এবং চোখেমুখে একটা অদ্ভুত আভা! এই অবস্থা দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাহলে কি আসলে তেমন কিছুই ঘটেনি?
এই ঘটনায় সইফের পরিবারও অস্বস্তিতে পড়েছে। সইফের বোন সাবা তাঁর ভাইয়ের সমালোচনা করেছেন, কিন্তু এবার সইফ-কাণ্ডে চুরির ঘটনা নিয়ে আরও একটি চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। বলিউডের এক অভিনেতা দাবি করেছেন, পুরো ঘটনাটি সাজানো ছিল এবং নেপথ্যে রয়েছেন সইফের স্ত্রী, করিনা কপূর খান।
এই অভিনেতা, যিনি নিজেকে এক ধরণের চলচ্চিত্র সমালোচকও বলে পরিচিত, তাঁর মতে, সইফের সঙ্গে করিনার একটি বড় ঝগড়া হয়েছে এবং সেই ঝগড়ার পরিণতিতে ঘটেছে এই সাজানো চুরি। তার মতে, সইফের পিঠে ছুরির আঘাতটি আসলে খুব বাস্তব ছিল না, বরং এক পরিকল্পিত নাটক।
কমল আর খান (KRK), যিনি অনেক সময়ই বলিউডের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তিনি এই ঘটনার পর সরাসরি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, সইফকে ছয় বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল, কিন্তু হামলাকারীকে সইফ কোনও রকমের প্রতিরোধ জানাননি! এছাড়াও, সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর মুখের কোনও মিলই নেই সইফের বর্ণনা করা হামলাকারীর সঙ্গে। তাই কমল মনে করেন, সইফের বাড়িতে আসলে কেউ চুরি করতে আসেনি, বরং এটি ছিল একটি পরিবারিক নাটক, যা মূলত সইফ ও করিনার ঝগড়ার পরিণতি।
কমল আরও বলেছেন, “এটা পুরোপুরি সাজানো ঘটনা, কারণ যে ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে, তার সঙ্গে সইফের দেওয়া বর্ণনার কোনও মিল নেই। এবং সইফের উপর যে ছুরির আঘাত রয়েছে, তা দেখে মনে হয় না আসলে কিছু ঘটেছিল।” তবে কমলের এসব মন্তব্যে অনেকেই বিশ্বাস করেননি এবং তাঁকে শুধুমাত্র মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এমন মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন।
এই ঘটনা নিয়ে বলিউডে চর্চা চলছে, এবং সইফ-করিনার সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। কিছু মানুষের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি পারিবারিক অস্থিরতার ফল, আবার অন্যদের মতে, এটি একটি বড় গোপন রহস্যের ইঙ্গিত হতে পারে।
এমনকি, সইফের বোন সাবা, যিনি শুরুতেই তাঁর ভাইয়ের সমালোচনা করেছিলেন, তার পরবর্তীতে মন্তব্যে একটু রহস্যের সুর রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি জানি না, তবে কিছু কিছু সময়ে মানুষের কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পুরোপুরি বোঝা যায় না।”
এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এবং বিতর্কের মাঝে, সইফ ও করিনার জীবনের পর্দা ওপেন থাকলেও, তাদের সম্পর্কের সঠিক পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট হয়নি।
উদিত নারায়ণের চুমু বিতর্কে কটাক্ষ উরফির! বয়স টেনে এনে বললেন