Thursday, January 30, 2025

বাড়িতে কতটা সোনা রাখা যায়? জানুন নিয়মাবলী

Share

বিয়ের মরসুমে সোনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়ে যায়। সম্প্রতি ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমে ৭০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে, যা মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য সোনায় বিনিয়োগে উৎসাহ জুগিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে সোনা রাখার ক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে আইনগত সমস্যা হতে পারে।

কতটা সোনা বাড়িতে রাখা যায়?


‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস’ (CBDT)-এর নিয়ম অনুযায়ী:

  • একজন বিবাহিত মহিলা সর্বাধিক ৫০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারেন।
  • অবিবাহিত মহিলার জন্য এই সীমা ২৫০ গ্রাম।
  • পুরুষদের জন্য এই পরিমাণ ১০০ গ্রাম।

এ ছাড়া বাড়িতে সোনা রাখার জন্য বৈধ নথিপত্র থাকা জরুরি। যদি বৈধ নথি থাকে এবং সোনা নির্দিষ্ট পরিমাণের মধ্যে থাকে, তবে কোনও তল্লাশির সময় আয়কর দফতর সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না।

আয়করের নিয়মাবলী:


সোনা কেনার অর্থ যদি ঘোষিত আয়ের মধ্যে হয় বা কর-মুক্ত আয়ের (যেমন কৃষিজ আয়) ভিত্তিতে হয়, তবে তা করের আওতায় পড়ে না। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সোনার ক্ষেত্রেও কর প্রযোজ্য নয়। তবে সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন নিয়ম প্রযোজ্য।

  • সোনা তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাখার পর বিক্রি করলে সেটি ‘দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ’ (Long-Term Capital Gains) হিসাবে গণ্য হবে এবং ২০% কর দিতে হবে।
  • তিন বছরের মধ্যে সোনা বিক্রি করলে সেই লভ্যাংশ ব্যক্তিগত আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী কর দিতে হবে।

সোভেরেইন গোল্ড বন্ড (SGB):


অনেকেই কাগুজে সোনা বা সোভেরেইন গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ পছন্দ করেন। ২০১৫ সালে এই বন্ড চালু করা হয়। এতে এক গ্রাম থেকে চার কিলোগ্রাম পর্যন্ত সোনা কেনার সুযোগ রয়েছে। মেয়াদ আট বছর। মেয়াদ পূর্ণ হলে কোনও কর দিতে হয় না, তবে মেয়াদপূর্ব বিক্রিতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়।

সোনা বাজেয়াপ্তের নিয়ম:


২০১৬ সালের একটি বিজ্ঞপ্তিতে CBDT জানিয়েছে, বাড়িতে সোনা রাখার কোনও নির্দিষ্ট ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে সোনা সংক্রান্ত উৎসের বৈধতা থাকা আবশ্যক। সোনা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হলে তা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। তবুও বিবাহিত মহিলাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়, যদি তাঁদের কাছে নির্ধারিত সীমার বেশি সোনা থাকে।

আইনি পটভূমি:


১৯৬৮ সালে গোল্ড কন্ট্রোল অ্যাক্টের মাধ্যমে সোনা কেনার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে আইনটি বাতিল হয়। বর্তমানে সোনা কেনা-বেচার স্বাধীনতা থাকলেও আইন ও করের নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, সোনা কেনার বা বাড়িতে রাখার আগে নিয়মাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আইন মেনে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে কোনও ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কা থাকবে না।

Read more

Local News