Thursday, May 22, 2025

বাংলায় বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ: বদলে যাওয়া বাংলার গল্প

Share

বাংলায় বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ!

বিনিয়োগের দুনিয়ায় বাংলা এখন এক অনন্য গন্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলার শিল্প পরিবেশ নিয়ে আলোচনা জমে উঠল লন্ডনের বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিদের পাশাপাশি ব্রিটেনের ব্যবসায়ী মহলও। কী বললেন তাঁরা? কেনই বা বাংলায় বিনিয়োগ করবেন? চলুন জেনে নিই তাঁদের অভিজ্ঞতা।

বাংলা মানেই লাভজনক বিনিয়োগ

সিকে ধানুকা, ধানসেরি ভেনচার্সের এগজিকিউটিভ, তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেন, “বাংলায় ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। অসম বা হরিয়ানার তুলনায় বাংলায় বিনিয়োগ করে আমরা সব সময়ই লাভের মুখ দেখেছি। কোনও ক্ষতির মুখ দেখতে হয়নি।”

তিনটি মূল কারণ

হর্ষ নেওটিয়া, অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরেন কেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলায় বিনিয়োগ করা উচিত।

  1. সহযোগিতামূলক সরকার: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যৌথ উদ্যোগকে উৎসাহিত করেন।
  2. উন্নত পরিকাঠামো: গত ১২ বছরে রাজ্যের পরিকাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
  3. শান্তি এবং সম্প্রীতি: বাংলায় এখন শান্তির বাতাবরণ যা শিল্পোন্নয়নের সহায়ক।

সর্বদা পাশে সরকার

কেকে বাঙুর, গ্রাফিতি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান, বলেন, “বাংলায় শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারের সহায়তা চমৎকার। প্রয়োজন হলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহায়তা মেলে।”

বাংলার প্রতি আত্মিক টান

মেহুল মোহানকা, টেগা ইন্ডাস্ট্রিজ়ের কর্ণধার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর কথায়, “কলকাতা আমার আত্মার শহর। এখানে ব্যবসা করা শুধু পেশা নয়, এক ভালোবাসার অভিব্যক্তি।”

চায়ের দেশে চা শিল্প

রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, লক্ষ্মী গ্রুপের চেয়ারম্যান, উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “চা শিল্পে বাংলার বিশেষ স্থান রয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তিতে এখন ঠান্ডা পানীয়তেও চা সংরক্ষিত হচ্ছে। এই সেক্টরে বিনিয়োগের অফুরন্ত সম্ভাবনা।”

সাত জন্মের সম্পর্ক

শাশ্বত গোয়েঙ্কা, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, জানান তাঁদের পরিবার সাত জন্ম ধরে বাংলার মাটিতে আছেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে প্রশাসনিক জটিলতা নেই, বরং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ।”

বেস্ট বেঙ্গল

সঞ্জয় বুধিয়া, প্যাটন ইন্টারন্যাশনালের এমডি, বলেন, “অনেকে ভাবেন আমি কি বাধ্যবাধকতার কারণে কলকাতায় আছি? না, আমি কলকাতায় থাকি কারণ আমি চাই। এই বাংলা আজ বেস্ট বেঙ্গল।”

শিক্ষার জন্য নিবেদিত

সত্যম রায়চৌধুরী, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, সিস্টার নিবেদিতার নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না।”

সম্ভাবনার বসন্ত

তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট, চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বাংলা এখন সম্ভাবনার বসন্ত উপভোগ করছে। এখানকার শিল্পোন্নয়নের সম্ভাবনা অনন্ত।”

সহজ, স্বচ্ছন্দ, সুন্দর

উমেশ চৌধুরী, টিটাগড় রেলওয়ে সিস্টেমের কর্ণধার, বাংলার শিল্পপরিবেশ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “এখানে বিনিয়োগ করা এখন সহজ, স্বচ্ছন্দ এবং পরিবেশ সুন্দর।”

ব্রিটেনের শিল্পপতিরাও বাংলার শিল্প পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই কলকাতায় নতুন দফতর খুলছেন। নতুন সংযোগ গড়ে উঠছে দুই দেশের মধ্যে।

বাংলা এখন শুধু বিনিয়োগের গন্তব্য নয়, এটি সম্ভাবনার ঠিকানা।

কনকনে ঠান্ডায় লন্ডনে মমতা: বিলেতে শুরু ছয় দিনের কর্মসূচি!

Read more

Local News