বিএনপির পাশে জাতীয় পার্টি, চাপে ইউনূস সরকার!
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা মুহাম্মদ ইউনূসের উপর এবার সরাসরি চাপ বাড়াল জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। বরং, ভোট-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত।
বিএনপির দাবির প্রতিধ্বনি কাদেরের মন্তব্যে
প্রায় এক মাস ধরে বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুলে আসছে। এবার সেই একই সুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদের বলেন,
“সংস্কারের বিষয়ে সরকার আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। যদি আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়, আমরা বলব— নির্বাচনের আগে নয়, পরবর্তী সরকারই এই সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরও বলেন,
“নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র) না থাকলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না।”
বিএনপি অনেক দিন ধরেই নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কারের দাবিতে সরব। এবার জাতীয় পার্টির অবস্থানও প্রায় একই হওয়ায়, ইউনূস সরকারের উপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়ল।
ভোট ঘিরে বিরোধী শিবিরের চাপানউতোর
বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী-বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট। বিএনপি দ্রুত ভোট চাইলেও, জামায়াত চায় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে। তাদের দাবি, ইউনূসের সরকারকে সংস্কারের জন্য আরও সময় দিতে হবে।
এর আগে, বিএনপি নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট বলেন, ভোট নির্ধারিত সময়েই হতে হবে। তিনি বলেন,
“নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক না করতে পারলে দেশের কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না। ঝড়, বৃষ্টি, খরা যাই হোক না কেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা হলে আমরা প্রতিরোধ করব।”
এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির অবস্থান বিএনপির দাবিকে আরও জোরালো করল। কাদের সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন,
“এই সরকার আদৌ নিরপেক্ষ কি না, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।”
ইউনূস সরকারের ওপর আস্থাহীনতা বাড়ছে?
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বিএনপি প্রথমে ইউনূসের সরকারের প্রতি নমনীয় ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ভোটের তারিখ নিয়ে দোলাচলের কারণে, তারা ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, জামায়াতও চায় নির্বাচন পেছানো হোক। তাদের মতে, দেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কাঠামোয় সংস্কার না করে ভোট হলে তা অবৈধ হবে। তবে, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি একে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখছে।
জাতীয় পার্টির সরাসরি অবস্থান ঘোষণা করার পর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এখন দেখার, ইউনূস সরকার এ চাপ কীভাবে সামাল দেয় এবং ভোটের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোয়।
গবেষণার আড়ালে সামরিক পরিকল্পনা? সমুদ্রের গভীরে চিনের রহস্যময় কেন্দ্র ঘিরে উদ্বেগ

