বিক্ষোভ টেট পাশ প্রার্থীদের
২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। এর ফলে চাকরির জন্য আবেদন করার বয়ঃসীমা পেরিয়ে যাচ্ছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে ৪০ বছর বয়সী হয়ে যাওয়ার আগে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে কলকাতার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন বহু চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে অনেকের দাবি, ২০২২ সালে টেট পরীক্ষার পরে প্রতি বছর নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে অনুযায়ী কিছুই হয়নি।
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ৪৩ বছর এবং তফসিলি জাতি-জনজাতি প্রার্থীদের জন্য ৪৫ বছর। কিন্তু টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া অনেক প্রার্থীর বয়স এই সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের টেটের ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে, এবং এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিকে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যার ফলে অনেক প্রার্থী বাদ পড়ে গেছেন।
মোহিত করাতি, একজন চাকরিপ্রার্থী, জানান যে, তাঁরা টেট পরীক্ষার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছেন এবং এখন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি না আসলে অনেকেই সুযোগ হারাবেন। মুর্শিদাবাদের প্রার্থী মহম্মদ রাজা মণ্ডলও জানাচ্ছেন, তার বয়স এই বছরের শেষের মধ্যে ৪০ হবে এবং তার পর তিনি আর চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হয়।
অন্যদিকে, বিদেশ গাজি নামক একজন প্রার্থী দাবি করেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণদের জন্য আলাদা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা উচিত। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, শূন্য পদ চেয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরে আবেদন পাঠানো হয়েছে, এবং দফতর শূন্য পদ দিলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।
এখনো পর্যন্ত, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ৫০ হাজার শূন্য পদে অবিলম্বে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা উচিত, যাতে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সময়মতো তাদের চাকরির সুযোগ পান।