Monday, December 1, 2025

বড় ধাক্কা খেয়েছে রুশ অর্থনীতি! পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারতের উপর ৫০% শুল্ক চাপানোর হুমকি ট্রাম্পের

Share

বড় ধাক্কা খেয়েছে রুশ অর্থনীতি!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। এইবার তাঁর মন্তব্যের লক্ষ্য—ভারত ও রাশিয়া। এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ফলে রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। যদিও তিনি ভারতের নাম সরাসরি বলেননি, তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ভারতের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের কথায়, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার শীর্ষ তেল আমদানিকারী দেশকে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তারা রাশিয়ার থেকে তেল কেনে, তবে তাদের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। এটা রাশিয়ার জন্য একটা বড় আঘাত।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প কার্যত ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন, কারণ রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানিকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।

ট্রাম্পের এই শুল্ক হুমকি নতুন নয়। এর আগেও তিনি ভারতের উপর প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। ফলে বর্তমানে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিই অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে নয়াদিল্লি শুরু থেকেই ট্রাম্পের এই অবস্থানকে অযৌক্তিক ও একপাক্ষিক বলে বিবেচনা করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বার্থে কোনও রকম আপস করা হবে না। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, “ভারত এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকব।” এ ছাড়া ভারত আমেরিকার দ্বিচারিতার দিকটিও তুলে ধরেছে। তারা মনে করিয়ে দিয়েছে, আমেরিকাও কিন্তু এখনও রাশিয়া থেকে পারমাণবিক শিল্পের কাঁচামাল, প্যালাডিয়াম ও রাসায়নিক আমদানি করছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই ট্রাম্প আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। উদ্দেশ্য, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান সূত্র খোঁজা। ফলে ভারতের উপর এই শুল্ক চাপানোর বক্তব্যকে অনেকেই কূটনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল হিসেবেই দেখছেন।

অন্যদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত মেলেনি। বরং আগস্টের শুরুতেই সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এমনকি, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সম্প্রতি রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করে এসেছেন।

ট্রাম্প এর আগেও দাবি করেছেন, বিশ্বের নানা সংঘাতে তিনিই শান্তি ফেরাচ্ছেন। হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, তিনি প্রতি মাসে অন্তত একটি আন্তর্জাতিক সংঘাত বন্ধ করেছেন। তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও বলা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের কোনও স্থায়ী সমাধান আসেনি।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপানো যে শুধুই বাণিজ্যিক নয়, বরং রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কৌশল—তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে আর কী চমক অপেক্ষা করছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন অভ্যাস শুরু করেছেন সোহা আলি খান, শরীর ভালো রাখতে খালি পেটে কী খান তিনি?

Read more

Local News