Sunday, November 30, 2025

ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারা কি স্বাধীনভাবে বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন?

Share

ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারা কি স্বাধীনভাবে বাণিজ্যিক ছবি!

সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র জয়ব্রত দাসের ছবি ‘দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ মুক্তির আগে থেকেই তোলপাড় টলিউড। পড়ুয়ারা কি নিজস্ব অর্থে বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন? প্রেক্ষাগৃহে সেই ছবি মুক্তি পেতে গেলে কি ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান নেওয়া বাধ্যতামূলক? আবার, কোনও প্রযোজনা সংস্থার নাম জুড়ে গেলে—সেটি কি আর ছাত্র-তৈরি ছবি থাকে? এই প্রশ্নগুলিই এখন সিনেমা মহলে বড় আলোচনার বিষয়। বিচারপতি অমৃতা সিংহের সাম্প্রতিক রায় বলছে—পরিচালকের স্বাধীনতা সর্বোচ্চ, তিনি চাইলে ফেডারেশনের সদস্য নাও নিতে পারেন। কিন্তু প্রযোজকের উপস্থিতি ও টলিউডের প্রথাগত নিয়ম বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে।


🎬 বিতর্কের মূল পয়েন্ট—এক নজরে

বিষয়ব্যাখ্যা
ছাত্র পরিচালকের স্বাধীনতাআদালতের মতে, পরিচালক চাইলে ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান না-ও নিতে পারেন
প্রযোজকের নাম জুড়লে সমস্যাশিল্পী ও ইম্পা সভাপতিদের দাবি—নাম জুড়লেই ছবি বাণিজ্যিক ধাঁচে পড়ে
মুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মবিধিপ্রেক্ষাগৃহে মুক্তি মানেই টলিউডের নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক
ফেডারেশনের অভিযোগটেকনিশিয়ানদের নিলে না কেন? ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে
পরিচালকের দাবিছাত্রদের অর্থে বানানো ছবি, ইন্ডাস্ট্রির চাপ অযৌক্তিক

🎥 বিতর্কের শুরু কোথায়?

জয়ব্রত জানান, ২০২১ সাল থেকে ছাত্রদের অর্থেই ছবিটি তৈরি হয়েছে—যখন টাকা এসেছে, তখন শুটিং করা হয়েছে। পরে মুক্তির কথা মাথায় রেখে তাঁরা যুক্ত হয় প্রমোদ ফিল্মস-এর সঙ্গে, যেখানে প্রযোজক প্রতীক চক্রবর্তীর নামও টাইটেলে রয়েছে। এখান থেকেই শুরু আপত্তি—ইম্পা সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এবং ফেডারেশন প্রধান স্বরূপ বিশ্বাসের অভিযোগ, ছাত্রদের ছবি বলে প্রচার হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি কমার্শিয়াল ছবি, এবং সেই অনুযায়ী নিয়ম মানতেই হবে।


🎬 ছাত্র–পরিচালকদের ছবি কি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে?

বিচারপতি অমৃতা সিংহের রায় মতে—পরিচালক স্বাধীন, তাঁর কর্ম-দলের উপর ফেডারেশনের চাপ থাকতে পারে না। তবে ফেডারেশন ও ইম্পা বলছে,
প্রযোজকের নাম থাকলে সেই ছবি বাণিজ্যিক হয়ে যায়, ফলে নিয়ম মানতে হবে।

এই বিষয়ে অতীতে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে ছবি মুক্তি করলেও হল রিলিজ সাধারণত সীমিত। পরিচালক শেখর দাশের কথায়—“ফেস্টিভ্যাল মুক্তি সহজ, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ মুক্তি মানেই ইন্ডাস্ট্রির নিয়ম।”


🔗 শিল্প ও শিক্ষার মিশেল—এখন কোন পথে সিনেমা?

ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারা ভবিষ্যতের নির্মাতা—তাই তাদের স্বাধীনতার জায়গা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একইসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির অর্থনীতি, শ্রমিক–টেকনিশিয়ানদের পাওনা এবং সংগঠনের নীতি—এই তিনটিই ছবির মুক্তির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।

সিনেমা–টেকনোলজি, OTT ট্রেন্ডস ও মিডিয়া ইকোনমি নিয়ে জানতে পড়ুন:
🔗 https://technosports.co.in (Internal link – SEO & retention)

ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংক্রান্ত সরকারি তথ্য:
🔗 https://www.cbfcindia.gov.in (Central Board of Film Certification)

Read more

Local News