প্লাস্টিকের কৌটো কি বদলানোর সময় এসেছে?
রান্নাঘরের নিত্যসঙ্গী প্লাস্টিকের কৌটো। চাল, ডাল থেকে শুরু করে মশলাপাতি— সবই রাখা হয় এতে। সহজে ব্যবহার করা যায়, ভাঙে না, তাই অনেকেই কাঁচের বদলে প্লাস্টিককেই বেছে নেন। কিন্তু জানেন কি, প্লাস্টিকের কৌটো চিরস্থায়ী নয়? সময়মতো এগুলি বদলানো খুবই জরুরি। কীভাবে বুঝবেন কৌটো ফেলে দেওয়ার সময় এসেছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ফাটল বা চিড় ধরলে
প্লাস্টিকের কৌটো দীর্ঘদিন ব্যবহারে ফেটে যেতে পারে। এমনকি কখনও কখনও এতে চিড়ও দেখা যায়। ফাটল ধরা কৌটোয় ব্যাকটেরিয়া সহজেই বাসা বাঁধতে পারে, যা খাবারের গুণমান নষ্ট করতে পারে। তাই এমন কৌটো ব্যবহার না করে ফেলে দেওয়াই ভালো।
২. গন্ধ বা রঙ বদলে গেলে
দিনের পর দিন কৌটোয় মশলা বা রান্না করা খাবার রাখলে গন্ধ থেকে যেতে পারে। ধোয়ার পরও গন্ধ না গেলে, কিংবা হলুদ বা তেলের দাগ কৌটোতে স্থায়ী হয়ে গেলে, বুঝতে হবে সেটি বদলানোর সময় এসে গেছে।
৩. ঢাকনা ঠিকমতো বসছে না?
অনেক সময় প্লাস্টিকের কৌটোর ঢাকনা হারিয়ে যায় বা ঠিকমতো বন্ধ হয় না। ঢাকনা না বসলে কৌটোতে রাখা খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে রান্না করা খাবার সংরক্ষণের জন্য এ ধরনের কৌটো একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়।
৪. কৌটোর বয়স বেশি হলে
যেকোনো প্লাস্টিকের কৌটো ২-৩ বছরের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারে এতে দাগ পড়ে যেতে পারে এবং প্লাস্টিক ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুরনো কৌটো ফেলে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. বিপিএ-মুক্ত কি না যাচাই করুন
প্লাস্টিক কৌটো কেনার সময় লক্ষ্য করুন এটি বিপিএ-মুক্ত (BPA-Free) কিনা। বিপিএ বা বিসফেনল-এ এক ধরনের রাসায়নিক, যা গরম খাবার বা তরল সংরক্ষণ করলে নির্গত হতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদি কৌটোতে বিপিএ-মুক্ত চিহ্ন না থাকে, তাহলে দ্রুত সেটি বাদ দেওয়া ভালো।
শেষ কথা
প্লাস্টিকের কৌটো ব্যবহারে সুবিধা থাকলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সঠিক সময়ে সেগুলি বদলে নেওয়া জরুরি। পুরনো, ফাটল ধরা, গন্ধযুক্ত বা বিপিএযুক্ত কৌটো বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প বেছে নিন। মনে রাখবেন, সুস্থ থাকতে ছোট ছোট এই অভ্যাসই বড় ভূমিকা রাখে।