প্রেমের মরসুমেই বিচ্ছেদের সুর!
ভালোবাসার আবহ কাটতে না কাটতেই টলিপাড়ায় শোনা গেল বিষাদের সুর। পরিচালক-অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং শিল্পী-লেখক মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯ বছরের দাম্পত্যের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হতে চলেছে। গত বছর আগস্টেই তাঁদের সম্পর্ক ভাঙনের ইঙ্গিত মিলেছিল। এবার জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হতে পারে।
নীরব অনিন্দ্য-মধুজা, কিন্তু কথা বলছে অতীত
গত বছর ১৮ আগস্ট নিজের ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন মধুজা। রবীন্দ্রসংগীতের পঙ্ক্তি ধার করে তিনি লিখেছিলেন,
“মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে, ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে…”
এই পোস্ট থেকেই অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন অনিন্দ্য-মধুজা। তখন থেকেই তাঁরা আলাদা থাকছেন।
সেই সময় মধুজা জানিয়েছিলেন, টানা ১৪ বছর ধরে সংসারের পাশাপাশি বাইরের নানা লড়াই করতে করতে তিনি ক্লান্ত। তাই ২০১৯ সালে সন্তানকে নিয়ে মুম্বই চলে যান তিনি। এই দূরত্বই কি সম্পর্কের ইতি টেনে দিল?
পরিবারে দূরত্ব, তবুও বন্ধুত্ব অটুট?
বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেও তাঁদের একমাত্র সন্তান জুজুকে নিয়ে মাঝে মাঝে একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেছে তাঁদের।
অনেকেই ভেবেছিলেন, এটা কি নতুন করে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা? কিন্তু মধুজা নিজেই জানিয়েছেন, সেই মিলন ছিল সাময়িক।
তিনি লিখেছিলেন,
“অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে, আমিও। কিন্তু সত্য মেনে নিয়ে কোথাও যেন নির্ভারও হয়েছি। আমাদের দাম্পত্য ভেঙেছে, কিন্তু বন্ধুত্বের নয়।”
এই কথাতেই স্পষ্ট, সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটলেও বন্ধুত্বের জায়গাটা হয়তো অটুট থাকবে।
আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে কী বলছেন তাঁরা?
বিচ্ছেদ নিয়ে সরাসরি অনিন্দ্য বা মধুজা কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই আদালতে তাঁদের বিচ্ছেদের চূড়ান্ত রায় আসতে পারে।
এদিকে, অনিন্দ্য এই প্রসঙ্গে বরাবরই নীরব থেকেছেন।
মধুজা আগেও বলেছিলেন,
“আমাদের বিয়েটা ভেঙেছে, কিন্তু আমরা জুজুর বাবা-মা হিসেবেই থাকব।”
টলিপাড়ায় বিচ্ছেদের হাওয়া!
টলিপাড়ায় বিচ্ছেদ এখন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রাবন্তী-রোশন, পরমব্রত-সুস্মিতা, দেবলীনা-তথাগত— একের পর এক সম্পর্ক ভাঙনের খবর উঠে এসেছে সাম্প্রতিক কালে।
অনিন্দ্য-মধুজার বিচ্ছেদ সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। তবে তাঁদের সম্পর্কের পরিণতি অন্যদের চেয়ে খানিক আলাদা।
শেষ কথা
প্রেমের মরসুমে যখন চারিদিকে ভালোবাসার উচ্ছ্বাস, তখনই অনিন্দ্য-মধুজার সম্পর্কের পরিণতি মন খারাপ করিয়ে দিল তাঁদের অনুরাগীদের। তবে ভালোবাসা মানেই যে শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, বরং একে অপরকে বুঝতে পারার নামই সত্যিকারের সম্পর্ক— সেটাই হয়তো প্রমাণ করলেন অনিন্দ্য-মধুজা!
একদিনেই ২০ লাখ অনুগামী হারালেন! বিতর্কের কেন্দ্রে ইউটিউবার রণবীর ইলাহাবাদিয়া, কত আয় করেন তিনি?