প্রেমের বাধা পেরিয়ে সেলিম-সালমার বিয়ে!
সলমন খানের বাবা-মায়ের প্রেমকাহিনিতে ধর্ম কখনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেয়। সম্প্রতি সলমন নিজেই মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে। ধর্মীয় ভেদাভেদে যে ভাইজান একেবারেই বিশ্বাসী নন, তা সর্বজনবিদিত। তবে বাবা সেলিম খান এবং মা সালমা খানের বিয়েতে ধর্মের চেয়ে অন্য একটি বিষয়ই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সেলিম-সালমার প্রেমকাহিনি
সলমনের মা সালমা খান ছিলেন হিন্দু পরিবারের মেয়ে। আর সেলিম খান একজন মুসলিম। কিন্তু তাদের প্রেমে ধর্ম কোনোদিনই অন্তরায় হয়নি। বরং সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেলিম খানের পেশা নিয়ে। সেলিম ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের মানুষ, আর এই অনিশ্চিত পেশাই সালমার পরিবারের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল।
সলমন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। বরং বাবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ ছিলেন বলে বিয়েতে আপত্তি ছিল।”
পারিবারিক বন্ধন
১৯৬৪ সালে সেলিম খান ও সালমা খানের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসার আলো করে আসে চার সন্তান— সলমন, সোহেল, আরবাজ় এবং অলভিরা। সালমার পরিবার প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে সেলিমের ব্যক্তিত্ব এবং আন্তরিকতায় মন গলে যায়।
নতুন সম্পর্ক, নতুন সমীকরণ
১৯৮১ সালে সেলিম খান দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী হেলেনকে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে টানাপোড়েন দেখা দেয়, কিন্তু খান পরিবারে দেখা গেছে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। হেলেন ও সালমার মধ্যে সুসম্পর্ক আজও বজায় আছে। পরিবারের একতা এবং ভালোবাসার নজির হিসেবে তাদের সম্পর্ককে প্রায়শই তুলে ধরা হয়।
সলমনের বিশ্বাস ও ধর্মীয় সহাবস্থান
সলমন খান নিজেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে। ইদে ঘটা করে নিজের ছবি মুক্তি দেন তিনি, আবার বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে ধুমধাম করে গণেশ পুজোতেও অংশ নেন। পরিবারের এই সম্প্রীতি এবং সহাবস্থানই সলমনের বিশ্বাসের প্রতিফলন।
সলমনের মতে, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং ভালোবাসাই সব থেকে বড় ধর্ম। সেলিম-সালমার প্রেমকাহিনি তাই কেবল ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প হয়ে উঠেছে।
এই প্রেম এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার গল্প আজও প্রমাণ করে, প্রকৃত ভালোবাসার পথে কোনও বাধাই স্থায়ী নয়।
মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন পুতিন! দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়