বিপদে রণবীর!
গোয়ার সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আল্লাহবাদিয়া এবং তাঁর প্রেমিকা। স্রোতে ভেসে গিয়ে প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ঠিক সেই সময়ই এক সাহসী আমলা দম্পতির উদ্যোগে তাঁদের প্রাণ রক্ষা হয়। রণবীর, যিনি ‘বিয়ার বাইসেপস’ নামে বেশি পরিচিত, এই অভিজ্ঞতার কথা বুধবার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
সমুদ্রে বিপজ্জনক মুহূর্ত
রণবীর জানিয়েছেন, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় তিনি এবং তাঁর বান্ধবী গোয়ার সমুদ্রে সাঁতার কাটতে যান। আচমকাই জলের প্রবল স্রোতে তাঁরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় তাঁরা গভীর জলে ভেসে যান এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে জলের চাপ তাঁদের গলায় উঠে আসে, এবং পেটে জল ঢুকে যায়। মৃত্যুর আশঙ্কায় তাঁরা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
উদ্ধার অভিযানে আমলা দম্পতি
ঠিক এই সময়ই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এক আইপিএস অফিসার এবং তাঁর আইআরএস স্ত্রী। তাঁদের তৎপরতাই রণবীর এবং তাঁর প্রেমিকাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। কোনো সময় নষ্ট না করে তাঁরা সমুদ্রের জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বিপদগ্রস্ত এই যুগলকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন।
রণবীরের কৃতজ্ঞতা
ঘটনার পরে ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রণবীর লেখেন, “আমরা এখন পুরোপুরি সুস্থ আছি। এই অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল, তবে সেই আমলা দম্পতির জন্য আমরা আজ জীবিত।” তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান। পোস্টে রণবীর গোয়ার ভ্রমণের ছবিও শেয়ার করেন এবং ভক্তদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
রণবীরের এই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর তাঁর ভক্তরা নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই লিখেছেন, “আপনারা সুরক্ষিত আছেন, এটা জেনে স্বস্তি পেলাম।” কেউ কেউ আবার সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
রণবীরের পরিচয়
রণবীর আল্লাহবাদিয়া ভারতীয় ইউটিউব জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নাম। তিনি মূলত ফিটনেস, জীবনধারা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। তাঁর চ্যানেল ‘বিয়ার বাইসেপস’ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ভক্তদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।
সমাপ্তি
গোয়ার সমুদ্রের এই অভিজ্ঞতা রণবীর এবং তাঁর প্রেমিকার জন্য এক ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে সাহসী আমলা দম্পতির তৎপরতায় তাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, যা সকলের জন্যই স্বস্তির খবর। এই ঘটনা আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, বিপদে সাহায্যের হাত বাড়ানোর মানসিকতা এবং তৎপরতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

