প্রিয়ঙ্কার সময় ব্যবস্থাপনার রহস্য
বলিউড এবং হলিউডে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন দেশি গার্ল প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁর ব্যস্ত জীবন শুধু অভিনয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কখনও তিনি স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে ছুটিতে, কখনও মেয়ে মালতীর সঙ্গে পরিবারের সময় কাটাচ্ছেন। আবার কখনও বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে পার্টি করছেন। এর পাশাপাশি সামাজিক কাজেও তাঁর উপস্থিতি লক্ষণীয়। এত কিছু কীভাবে সম্ভব করেন তিনি?
এই প্রশ্নের উত্তরে নায়িকার মা মধু চোপড়া বলেন, “প্রিয়ঙ্কা দশভূজা না হলেও জানে কীভাবে ২৪ ঘণ্টার প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হয়। নিজের কাজ, পরিবার এবং অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রেখে সে এগিয়ে চলে।”
মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি
মধু চোপড়ার মতে, প্রিয়ঙ্কা কোনও কাজ ফেলে রাখেন না। সময় কম থাকলে দরকার হলে ভোর ৪টায় উঠে নিজের কাজ সম্পন্ন করেন। মধু নিজেও একজন সফল চিকিৎসক এবং একই সঙ্গে পরিবারের দায়িত্ব সামলেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আবার প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং এখন মেয়ের প্রযোজনা সংস্থার দায়িত্বেও যুক্ত।
একটি পডকাস্টে মধুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এত কিছু একসঙ্গে কীভাবে সামলান? উত্তরে তিনি বলেন, “পরিবারের সমর্থন আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি সব সময় কাজের সময় কাজ করেছি এবং ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় অন্য দিকে মন দিইনি। এই শিক্ষাই প্রিয়ঙ্কা এবং সিদ্ধার্থকে দিয়েছি। প্রিয়ঙ্কা এই শিক্ষাটাই খুব ভালভাবে রপ্ত করেছে।”
পরিকল্পিত সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
মধু আরও জানান, প্রিয়ঙ্কার সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতার কারণেই তাঁর জীবন সহজ হয়ে গেছে। “ও সময় পরিকল্পনা করে নিলে কোন কাজ কখন করবে, তার জন্য উদ্বেগ থাকে না। তাই সে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে,” বলেন তিনি।
মানসিক বিশ্লেষণ:
মনোবিদ অনুকৃতি গর্গ প্রিয়ঙ্কার মায়ের সঙ্গে একমত। তাঁর মতে, সময় ভাগ করে নেওয়া মানসিকভাবে আমাদের চাপ মুক্ত রাখে। তিনি বলেন, “একটার সঙ্গে আরেকটা কাজ বা ভাবনা জড়িয়ে গেলে আমরা মানসিকভাবে চাপ অনুভব করি। কিন্তু সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা মাথা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে উদ্বেগ দূর হয় এবং মানসিক চাপ কমে যায়।”
প্রিয়ঙ্কার সময় ব্যবস্থাপনার উদাহরণ
প্রিয়ঙ্কার জীবনযাত্রা থেকে বোঝা যায়, সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা থাকলে কত কিছু করা সম্ভব। কাজ, পরিবার, নিজের যত্ন এবং অন্যান্য দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে কখনও তিনি ক্লান্ত হন না। প্রতিটি কাজে তাঁর পূর্ণ মনোযোগ এবং পরিকল্পনা দেখা যায়। এই শিক্ষাই তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া।
উপসংহার:
প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার জীবনধারা আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা থাকলে জীবনের জটিলতা সহজ হয়ে যায়। নিজের দক্ষতা এবং পরিবারের সমর্থন থাকলে অনেক কিছু একসঙ্গে সামলানো সম্ভব। মায়ের দেওয়া শিক্ষাই প্রিয়ঙ্কাকে গড়ে তুলেছে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে।
লস এঞ্জেলসে দাবানলে মৃত পাঁচ, আগুন নেভাতে ফুরোল ড্রেনের জলও, থমকে হলিউডের কাজ