Friday, January 31, 2025

প্রজন্মের ব্যবধান বুঝতে না পারলে সন্তানকে বড় করা কঠিন! বাবা হিসাবে উপলব্ধি অভিষেকের

Share

বাবা হিসাবে উপলব্ধি অভিষেকের

অভিষেক বচ্চন, বলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি নিজের জীবনযাত্রা ও অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে প্রায়ই কথা বলেন। তিনি বাবা হয়েছেন, আর সেই ভূমিকা পালন করতে গিয়ে অনেক কিছুই নতুনভাবে অনুভব করেছেন। অভিষেক বচ্চন জানাচ্ছেন, যে শিক্ষা তিনি তার মা-বাবা, অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন থেকে পেয়েছেন, তা আরাধ্যাকে বড় করতে সাহায্য করবে না, এমনকি অনেক সময় এই পুরনো অভ্যাস ও নিয়ম প্রজন্মের ব্যবধানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। অভিষেকের মতে, সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করতে গেলে বাবা-মায়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রজন্মের ব্যবধান বোঝা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা।

অভিষেকের শৈশব কাটিয়েছিল তার মা-বাবার পথনির্দেশনায়। তারা বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা, আর অভিষেকও তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনকে সহজ ও মসৃণ করার চেষ্টা করেছেন। তবে বর্তমান সময়ে এসে অভিষেক উপলব্ধি করেছেন যে, তার শৈশবের কঠোর নিয়ম ও পুরনো শিক্ষার সাথে আধুনিক প্রজন্মের মানসিকতা আর অনুভূতি একেবারেই মেলে না। আজকের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, তাদের নিজস্ব মতামত স্পষ্ট এবং তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ তথ্য খুঁজে পেতে সক্ষম। অতএব, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে বাবা-মায়ের ভাবনা ও পন্থা আরও নমনীয় ও উদার হতে হবে।

অভিষেক নিজেই বলেছেন, “সন্তানকে মানুষ করতে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। কিন্তু মা-বাবারা সব সময় সেই কঠোরতা দেখাতে পারেন না। তাঁদের আবেগ, অনুভূতি মাঝে মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা চান না যে, সন্তানের জীবনে কোনো বাধা আসুক। কিন্তু জীবন থেকে সঠিক শিক্ষা নিতে গেলে কিছু কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া প্রয়োজন।” এটা আসলে অভিষেকের অভিভাবকত্বের একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা, যেখানে তিনি দেখছেন, বাবা-মায়ের আদেশে সন্তান সেভাবে বিশ্বাসী না হয়ে নিজের চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

বর্তমান প্রজন্মের সন্তানরা আর পুরনো দিনের মতো মা-বাবার আদেশের প্রতি একমত থাকে না। তারা এখন নিজের মতামত তৈরি করে, অনেক ক্ষেত্রে ‘গুগ্‌ল’ বা ইন্টারনেটের সাহায্যে নিজের তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের কাছে এটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয় যে তারা নিজের মতামত প্রকাশ করবে, এবং তা মা-বাবার চেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। অভিষেক এই বাস্তবতাও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবে তিনি বলেন, ভাগ্নী নব্যা নভেলি নন্দা এবং ভাগ্না অগস্ত্য নন্দার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। তারা তরুণ প্রজন্মের জন্য দিশারী হয়ে উঠেছে, যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলেছে। নব্যা এবং অগস্ত্য যেমন আত্মনির্ভর, তেমনই আরাধ্যাও তার সিদ্ধান্তের প্রতি স্থির থাকবে, এটাই অভিষেকের বিশ্বাস।

এটা স্পষ্ট যে, অভিষেক বচ্চন বুঝতে পেরেছেন, সন্তানের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালনে শুধুমাত্র পুরনো শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। বাবা-মায়ের কাছে সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন, তবে সেই সঙ্গে সন্তানের ভাবনা, প্রজন্মের পরিবর্তন ও তার স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা উপলব্ধি করা একান্তই জরুরি।

পায়ে চোট নিয়েও পেশার প্রতি দায়বদ্ধ রশ্মিকা! হুইলচেয়ারে বিমানবন্দরে হাজির নায়িকা

Read more

Local News