পেয়ারা দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়!
পেয়ারা, যাকে আমরা সাধারণত গ্রীষ্মকালের এক সেরা ফল হিসেবে চিনি, পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, এবং নানা উপকারী উপাদানে ঠাসা এই ফল শরীরের নানা উপকারে আসে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা কিংবা ছোটরা পেয়ারা খেতে চায় না, বিশেষ করে যখন এটি কেটে দেওয়া হয়। তবে, কিছু সহজ কৌশলে আপনি পেয়ারাকে সুস্বাদু পানীয়র আকারে উপস্থাপন করে তাদের সহজেই খাওয়াতে পারেন।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো উপকারি উপাদান। এছাড়া, পেয়ারায় প্রচুর ফাইবারও রয়েছে যা হজমের জন্য খুবই ভালো। যারা শরীরের যত্ন নিতে চান কিংবা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য পেয়ারা একটি আদর্শ ফল।
কীভাবে তৈরি করবেন স্বাস্থ্যকর পেয়ারা পানীয়?
পেয়ারাকে সুস্বাদু পানীয়তে পরিণত করতে আপনাকে কিছু সহজ উপকরণ এবং কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমে, পেয়ারা ভালভাবে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করে কাটুন। তারপর, একটি মিক্সার বা ব্লেন্ডারে টুকরোগুলো দিয়ে ভালোভাবে পিষে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিতে হবে, যাতে কোনো দানা বা আঁশ না থাকে। এর পর, পানীয়টিতে যোগ করুন সামান্য সৈন্ধব লবণ, যা স্বাদে ভিন্নতা আনবে।
এছাড়া, এক টুকরো পাতিলেবুর রস এবং কিছু থেঁতেও করা পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। এগুলো পানীয়টিকে আরও তাজা এবং সুগন্ধী করে তুলবে। যদি আপনাকে একটু মিষ্টি স্বাদ দিতে হয়, তবে সামান্য চিনি যোগ করতে পারেন, তবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে চিনি বাদ দেওয়াই ভালো।
মিশ্রণটি একটি কাচের গ্লাসে ঢেলে বরফের টুকরো দিয়ে পরিবেশন করুন। গরমে পানীয়টি খেতে বেশ স্বস্তি দেবে এবং এটি শরীরের তৃষ্ণা মেটাতে সহায়ক হবে। সবচেয়ে ভালো হলো, যে পানীয়টি আপনি বানিয়েছেন তা পেয়ারার শরবত হওয়ার পরও তার স্বাদে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকবে না এবং এটি আপনার পরিবারের সকলেই উপভোগ করবে।
উপকারিতা
এই স্বাস্থ্যকর পানীয়টি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি, পেয়ারা খাওয়ার তৃপ্তি দেবে। কেবল তাই নয়, এটি আপনার পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের কারণে এটি আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে।
তাহলে আর দেরি কেন? গরমে তেষ্টা মেটাতে এবং স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে এক কাপ পেয়ারা পানীয় তো বটেই!