পুলিশি তলবে সৃজন ভট্টাচার্য!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনায় পুলিশ তলব করল এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে যাদবপুর থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যাদবপুরের ঘটনার যে কোনও তথ্য-প্রমাণ সৃজনের কাছে থাকলে, তা নিয়ে আসতে হবে। এসএফআই-এর পক্ষ থেকে আগেই এক সাংবাদিক বৈঠকে কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সৃজনও। সেই বৈঠকের পরই তাঁর বিরুদ্ধে এই তলব এল। সংগঠনের সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সৃজন থানায় যাবেন সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে।
যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ
কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং ছাত্রভোটের দাবিতে স্লোগান তোলেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি, শিক্ষামন্ত্রী নিজেও আহত হন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় দু’জন ছাত্রও আহত হন। এসএফআই-এর অভিযোগ, ব্রাত্যের গাড়ির ধাক্কায় তাঁরা জখম হয়েছেন।
এসএফআই দাবি করেছে, আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি পিষে দেয়। সংগঠনটি একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ছবি এবং ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বর্তমানে ইন্দ্রানুজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শনিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
সৃজনের প্রতিক্রিয়া ও পুলিশের ভূমিকা
এসএফআই-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ওই ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলাম না। তবে সমাজমাধ্যম থেকে পাওয়া কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো আমার কাছে রয়েছে, যা পুলিশের হাতে তুলে দেব।’’
সৃজন আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই ঘটনার দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পুলিশ এত সময় নিচ্ছে কেন? তাঁদের কেন তলব করা হচ্ছে না? আমাকে ডাকিয়ে কি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে?’’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের এই পদক্ষেপ শুধু তদন্তের স্বার্থে, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে যাদবপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি ও প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের উপর পাল্টা শুল্ক চাপাচ্ছেন ট্রাম্প! ঘোষণা করলেন নির্দিষ্ট তারিখও

