Monday, December 1, 2025

পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই, জম্মু-কাশ্মীরে চলছে তল্লাশি অভিযান

Share

পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই!

গত ৪৮ ঘণ্টায় জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের তীব্র সংঘর্ষ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকার অবন্তীপোরার কাছে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।

ভোর থেকেই এলাকায় অভিযান চালানো শুরু হলে জঙ্গিরা প্রথমে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর গুলি চালায়, এরপর পাল্টা জবাব দেয় তারা। সকালের দিকে কাশ্মীর জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, সংঘর্ষ এখনও চলছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ত্রাল এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত দু’তিন জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদের ধরার জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।

এটি গত ৪৮ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিতীয়বারের মতো এনকাউন্টার, অর্থাৎ গুলির লড়াইয়ের ঘটনা। এর আগে মঙ্গলবার সকালে সোপিয়ানে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি মারা গিয়েছিল। ওই অভিযান শুরু হয়েছিল কুলগাঁও থেকে এবং পরে সোপিয়ানে চলে আসে। নিহতদের মধ্যে দু’জন—শাহিদ কুট্টে ও আদনান সফি— ছিলেন লশকার-এ-ত্যায়বার সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যদিও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনও জঙ্গিকে এখনও ধরা পড়েনি। ৬ মে রাতে ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের বিশেষ অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছয়টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। পাশাপাশি পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজ চলছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশ করেছে একটি ভিডিও, যেখানে পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জড়িত জঙ্গিদের ছবি ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। তাদের সন্ধানে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা জঙ্গিদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফেরাতে অব্যাহত রয়েছে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনী বলছে, যারা এই ধরনের দাঙ্গা-ফ্যাসাদ তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

জনসাধারণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা, এবং জঙ্গিদের সক্রিয়তা বন্ধ করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ নজর রাখছে।

পুলওয়ামা ও সোপিয়ান এলাকায় এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা আবারও ভারতের সংহতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ধরনের দাঙ্গা বন্ধ করে কাশ্মীর অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পাকিস্তানি ভাইবোনদের উদ্দেশে রণবীরের পোস্ট কেন মুছলেন? বিতর্কের মধ্যে সাফাই দিলেন অভিনেতা

Read more

Local News