পার্কিং নিয়ে তুমুল বিবাদ!
দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। পার্কিং নিয়ে বিবাদের জেরে এক তরুণী আইনজীবীর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, শুধু হামলাই নয়, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, যখন ওই আইনজীবী তাঁর চেম্বারের সামনে বেআইনি পার্কিংয়ের প্রতিবাদ করেন। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই জায়গায় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্ক করা হয়, যা আইনসম্মত নয়। প্রতিবাদ করতেই এলাকার কয়েকজন তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎই এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে যান। আইনজীবীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি তাঁকে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে চারু মার্কেট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতেই বিবাদ থেমে যায়নি। দু’পক্ষই থানায় গিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে, হামলাকারী এবং স্থানীয় কয়েকজন পাল্টা দাবি করেছেন, আইনজীবীর বাবা একজন প্রোমোটার এবং অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, এই বিরোধের পেছনে সেই নির্মাণসংক্রান্ত বিষয়ও জড়িত। এমনকি তাঁরা দাবি করেছেন যে, আগে তাঁদের উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যেও আলোড়ন ফেলেছে। একদিকে আইনজীবীর ওপর প্রকাশ্যে হামলার অভিযোগ, অন্যদিকে পার্কিং ও প্রোমোটিং সংক্রান্ত পুরনো বিবাদ—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা পার্কিং সমস্যার পাশাপাশি এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি নির্দেশ করছে।
চারু মার্কেট অঞ্চলে বেআইনি পার্কিং এবং প্রোমোটিং সংক্রান্ত অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যা চলছে, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।
এখন দেখার বিষয়, পুলিশি তদন্ত কী মোড় নেয় এবং সত্যিই কি শুধুমাত্র পার্কিং বিবাদ, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো বড় কারণ। তবে এই ঘটনা ফের একবার শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
শিবলিঙ্গে দুগ্ধস্নান, মহাকুম্ভে কি এবার পুণ্যের পথে ভিকি কৌশল?