Saturday, February 22, 2025

পাকিস্তান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন প্রবীণ অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী

Share

পাকিস্তান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন প্রবীণ অভিনেতা

বলিউডে দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। এর আগে সলমন খান ও শাহরুখ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যার পেছনে ছিল কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিশ্নোই। তবে এবার হুমকির লক্ষ্য হয়েছেন মিঠুন। পাকিস্তানের এক গ্যাংস্টার শাহাজ়াদা ভাট্টির তরফে তাকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, মিঠুনের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভাট্টির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় মিঠুনকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে এবং তার জন্য ১০-১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান

মিঠুন চক্রবর্তী ২০২১ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন এবং তারপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিতে তিনি কলকাতায় আসেন। ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের ইজেডসিসিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মিঠুন তার বক্তব্যে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্য তুলে ধরেন। বিধায়ক হুমায়ুনের মন্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দীপ্ত করতে তিনি বলেন, “৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু—এভাবে ভাগ করব, কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব।” এ প্রসঙ্গে মিঠুন মন্তব্য করেন, “আমার সামনে এমন কথা বলার সাহস করা হলেও আমি চুপ করে থাকব না। ভাগীরথী নদী আমাদের মা। আমি ওদের কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেব না, বরং ওদের নিজেদের মাটিতেই পুঁতে দেব।”

মিঠুনের এই সাহসী মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, এবং বৌবাজার থানা ও বিধাননগর দক্ষিণ থানাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিনেতার এই বক্তব্যের ফলে তার উপর হুমকির ঝুঁকি আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

হিন্দু-মুসলিম সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “এটা অভিনেতা মিঠুন বলছে না, বরং সেই মিঠুন, যে রক্তের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত। আমার বয়স ছিল তখন মাত্র ২৮, এবং আজও এই বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করছি। আমি জানি, কারা কোথা থেকে কী করবে। আমাকে সাহস দিয়ে আপনারা পাশে থাকলে, আমিও বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাব।” তার এই বক্তব্যের পর থেকেই বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

Read more

Local News