পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের!
আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবারও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পি হরিশ বলেছেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই কাশ্মীরের অবৈধভাবে দখল করা এলাকা ছাড়তে হবে।
শান্তির বদলে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যখন শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছিল, তখনই পাকিস্তানের প্রতিনিধি সৈয়দ তারিক ফতেমি কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তারিকের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে হরিশ জানান, পাকিস্তান শুধুমাত্র ভিত্তিহীন দাবি জানিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, বরং সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার মাধ্যমে পাকিস্তান নিজের দায় এড়াতে পারবে না।”
পাকিস্তানের দাবি ভিত্তিহীন
হরিশ স্পষ্ট করেন, পাকিস্তানের এই ধরনের অভিযোগ কোনোভাবেই বাস্তবতার প্রতিফলন নয়। তিনি বলেন, “বারবার মিথ্যা দাবি করলেও সত্য বদলাবে না। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ এবং এই বাস্তবতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও স্বীকৃতি দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা
সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, ভারতের লক্ষ্য সবসময়ই শান্তি স্থাপন করা। তবে পাকিস্তান শান্তির আহ্বানের বদলে বারবার ছায়াযুদ্ধ এবং সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। মোদীর মতে, বিশ্বাস এবং সহযোগিতার পরিবর্তে ভারত পেয়েছে শুধু প্রতারণা।
শান্তির পথে বাধা পাকিস্তান
রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে ভারতীয় কূটনীতিক হরিশ আরও বলেন, “পাকিস্তান যদি সত্যিই শান্তি চায়, তবে তাদের উচিত সন্ত্রাসবাদে মদত বন্ধ করা। জম্মু ও কাশ্মীরের অবৈধভাবে দখল করা অংশ মুক্ত করে দেওয়াই হবে সেই পথে প্রথম পদক্ষেপ।”
উপসংহার
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের এই কড়া অবস্থান পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলে আরও চাপে ফেলবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের ভিত্তিহীন প্রচারণার বিরুদ্ধে ভারত যে দৃঢ় এবং স্পষ্ট অবস্থানে রয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল এই বক্তব্যে।