Thursday, January 30, 2025

পাঁচ দিন পর সইফ বাড়ি ফিরলেন একা, কিন্তু করিনা কোথায়? নবাবকে ঘরে স্বাগত জানাতে ছিল বিশেষ আয়োজন

Share

সইফ বাড়ি ফিরলেন একা

পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে নবাব সইফ আলি খান মঙ্গলবার বাড়ি ফিরলেন, তবে এই দৃশ্য ভক্তদের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, তাঁর পাশে ছিলেন না স্ত্রী করিনা কপূর খান। করিনা কেন অনুপস্থিত ছিলেন? এবং সইফের জন্য তিনি কী বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

সিংহের মতো লড়াই করেই বাড়ি ফেরা

সইফ যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁর শরীরে ছুরির আঘাত ছিল। শিরদাঁড়ায় গভীর ক্ষত, হাতে এবং ঘাড়েও আঘাত। এমনকি রক্তে ভেসে গিয়েছিল তাঁর সাদা পাঞ্জাবি। তবে এই অবস্থাতেও নিজের মেজাজে ছিলেন নবাব। আহত অবস্থাতেই তিনি পায়ে হেঁটে অটোরিকশায় উঠে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর, মঙ্গলবার তিনি সেই নবাবি ভঙ্গিতেই বাড়ি ফিরলেন।

পরনে সাদা শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, কব্জিতে ব্যান্ডেজ, ছোট করে ছাঁটা চুল, পরিষ্কার মুখ—এই অবয়বে সইফ তাঁর মেজাজ বজায় রেখে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন। ছবিশিকারিদের দিকে হাত নেড়ে হেসে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাঁর সাহসিকতার উদাহরণ যেন আরও একবার মিলল এই দৃশ্যে।

করিনার অনুপস্থিতি এবং বিশেষ আয়োজন

যখন সইফ হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন করিনা ছিলেন না তাঁর পাশে। কয়েক দিন আগেই ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, করিনা গাড়ির ভিতরে কারও সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন। সইফের হাসপাতাল ছাড়ার মুহূর্তে করিনার অনুপস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল বেড়ে যায়।

তবে পরে জানা যায়, সইফের ঘরে ফেরা উপলক্ষে করিনা আগে থেকেই বাড়িতে পৌঁছে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ বহুতল বাড়ি সাজানো হয়েছিল আলো আর ফুলে। সন্ধ্যা নামতেই তাঁদের ১২ তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা ঝলমল করে ওঠে। এই আলোর রোশনাই এবং সাজের ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরিবারের ‘হিরো’-কে বাড়ি ফেরার মুহূর্তটি স্মরণীয় করে তোলার জন্য করিনার এই আয়োজন ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অতীতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা

সপ্তাহখানেক আগে, গভীর রাতে সইফের বাড়িতে এক দুষ্কৃতী চুরির উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়ে। শরিফুল নামে ওই ব্যক্তি চুরির সময় সইফের মুখোমুখি হন। সইফ তাঁকে বাধা দিতে গেলে, তিনি ছয় বার ছুরিকাঘাত করেন অভিনেতার শরীরে। সেই সময়ও সইফ আহত অবস্থায় নিজের মতো করে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। এই ঘটনায় তাঁর সাহসিকতা এবং মনের জোর অনেকের মন জয় করেছে।

পরিবারের জন্য স্বস্তি

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সইফ ঘরে ফিরতেই পরিবারের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। নবাবের সাহসিকতা এবং করিনার ভালোবাসা ভক্তদের কাছে একটি অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠেছে। করিনা, সইফ এবং তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ-এর সুখী পরিবার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের শক্ত রাখার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

নবাবি মেজাজে ঘরে ফেরা

সইফের বাড়ি ফেরার দৃশ্য যেন সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। আহত হওয়ার পরেও তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং সাহসিকতা নজর কেড়েছে। করিনার ভালোবাসা এবং পরিবারের সমর্থন তাঁকে নতুন উদ্যমে আবার ফিরে আসতে সাহায্য করেছে। এই কঠিন মুহূর্ত পেরিয়ে তাঁরা যেন আরও কাছাকাছি এলেন।

পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক, সইফের মতো সাহসিকতা এবং করিনার মতো ভালোবাসা থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব—এটাই যেন প্রমাণ করল এই ঘটনা।

অভিষেক শর্মার অভিষেক: এক শর্মা না পারলেও গম্ভীরের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন অন্য শর্মা

Read more

Local News