ইরানে মার্কিন হামলা দেখে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব!
ইরানে আমেরিকার সামরিক অভিযান ঘিরে পশ্চিম এশিয়ায় ফের অস্থিরতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে দাবি করেছেন, পরমাণু হুমকি প্রতিরোধে তাঁর প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত সফল’, সেখানে এই বলপ্রয়োগ দেখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তাঁর আশঙ্কা, এ বার এই সংঘাত এমন এক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে, যেখান থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা আর সম্ভব হবে না।
রবিবার ভোররাতে (ভারতীয় সময়) ইরানের ফরডো, নাতান্জ় এবং এসফাহানে অবস্থিত তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হানা চালায় আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বলেন, “আমেরিকা যে ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করেছে, আমি তাতে অত্যন্ত শঙ্কিত। এমনিতেই পশ্চিম এশিয়া এক সংঘাতময় ও অনিশ্চিত ভূখণ্ড। সেখানে এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক ইঙ্গিত বহন করে।”
গুতেরেস আরও বলেন, “এই সংঘাত এখন হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। শুধু ওই অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের পক্ষেই পরিস্থিতি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।” তিনি বিশেষ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের সব সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন, “আপনারা সংযম দেখান, উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ নিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আমরা আর কোনও বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঢুকতে পারি না। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব বিশ্বকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”
গুতেরেস তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট করে তিনটি বার্তা দিয়েছেন—
১) সামরিক সমাধান কোনও সমাধান নয়।
২) কূটনৈতিক পথই একমাত্র পথ।
৩) শান্তিই একমাত্র আশার আলো।
এই আবহে মার্কিন প্রশাসনের বার্তায় উঠে এসেছে ভিন্ন সুর। হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাস পৃষ্ঠপোষক দেশকে পরমাণু অস্ত্র থেকে বিরত রাখা। এখন শান্তি ফিরিয়ে আনার সময়। তবে যদি ইরান তা না করে, তা হলে আমাদের কাছে আরও অনেক লক্ষ্য রয়েছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই শক্তি প্রদর্শন একদিকে যেমন আমেরিকার সামরিক ক্ষমতার প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে এটি বিশ্বের কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও নাড়িয়ে দিতে পারে। আর ঠিক সেই কারণেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের এই সতর্কবার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখন দেখার, ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলি কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে।
🚨 “ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”: কর্মীদের হুঁশিয়ারি Nothing-র CEO কার্ল পে-র

