পদ্ম সম্মান
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে পদ্ম সম্মানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু বিজেপি কি আদৌ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল? এমন প্রশ্ন এখন দানা বাঁধছে দলীয় অন্দরমহলেই।
পদ্ম সম্মান: তালিকায় রাজনীতি
এ বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন ন’জন। তাঁদের কৃতিত্ব নিয়ে কোনও সংশয় না থাকলেও তালিকায় রাজনীতির ছাপ স্পষ্ট। দলীয় কিছু নেতা মনে করছেন, যদি পদ্ম সম্মানকে রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহার করতেই হয়, তবে আরও কৌশলী হওয়া উচিত ছিল।
বাংলা দখলের কৌশলে ফাঁক?
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি যদি বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি জগতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইত, তবে পদ্ম সম্মানের বৃত্তে আরও বৈচিত্র আনতে পারত। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “বাংলা থিয়েটার বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করলে তা আরও প্রশংসনীয় হত।”
অরিজিৎ সিংহের সম্মান নিয়ে বিতর্ক
অরিজিৎ সিংহ, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক, এ বছর পদ্মশ্রী পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে সরাসরি পদ্মভূষণ দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, “অরিজিৎ যা অর্জন করেছেন, তাতে পদ্মশ্রী নয়, সরাসরি পদ্মভূষণই মানানসই ছিল।”
সুযোগ কি হাতছাড়া করল বিজেপি?
বিজেপি রাজ্য নেতাদের একাংশের মতে, পদ্ম সম্মানের বৃত্ত বাংলার গ্রামগঞ্জে পৌঁছলে তা ভোটের আগে আরও কার্যকর হতে পারত। গ্রামীণ বাংলার জনপ্রিয় যাত্রা শিল্প বা অলঙ্কার ও কনফেকশনারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সফল বাঙালি উদ্যোগপতিদের সম্মানিত করলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনসংযোগ আরও মজবুত করা যেত।
ভবিষ্যৎ কি বলছে?
২০২৬-এর নির্বাচনের আগে আর মাত্র একবার পদ্ম সম্মান প্রদানের সুযোগ পাবে বিজেপি। তবে তখন ভোটের সময় সন্নিকটে থাকবে। পদ্মবনের বাইরের কাউকে সম্মানিত করলেও সেই সময় কতটা রাজনৈতিক লাভ হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
শেষ কথা
পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ‘বাংলা-বিরোধী’ তকমা ঘোচাতে বিজেপি পদ্ম সম্মানকে আরও কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু এই সুযোগ হারিয়ে আক্ষেপ এখন দলীয় অন্দরমহলেই স্পষ্ট।
ভ্যালেন্সিয়াকে ৭ গোল দিয়ে বার্সেলোনার বিশাল জয়, লিগ জয়ের দৌড়ে টিকে থাকল হ্যান্সি ফ্লিকের দল
