পথকুকুরদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ!
দক্ষিণ দমদম পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় পথকুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পথচারীদের উপর আক্রমণ, রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে চিৎকার, এবং হঠাৎ তাড়া করা—এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বহু অভিযোগ জমা পড়ার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা।
এই সমস্যা সমাধানে এ বছর পুর বাজেটে পথকুকুরদের নির্বীজকরণের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পথকুকুরদের জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং সংখ্যা কমানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
📌 বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ দমদম এলাকায় পথকুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে।
📌 স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুকুরের সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে, অথচ জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই।
📌 পুরসভার নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায়, এবার একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নির্বীজকরণ কর্মসূচি চালানো হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন,
🗣️ “আমাদের নিজস্ব পরিকাঠামো নেই, তাই এবার বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে পথকুকুরদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করছি। এটি আমাদের প্রথম ধাপ।”
আর কী কী থাকছে এবারের বাজেটে?
পথকুকুর নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও, এবারের বাজেটে অন্যান্য নাগরিক সুবিধার উন্নয়নেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে—
✔️ প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ।
✔️ অস্থায়ী কর্মচারীদের দৈনিক বেতন ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
✔️ বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবার মান ও গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা।
বিরোধীদের প্রশ্ন—এই খরচের টাকা আসবে কোথা থেকে?
বিরোধী দলের একাংশের অভিযোগ, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন উন্নয়নের কথা মনে পড়েছে শাসকদলের! তাদের প্রশ্ন,
❓ “এতদিন ব্যয় সংকোচের কথা বলা হচ্ছিল, এখন হঠাৎ এই অতিরিক্ত খরচের অর্থ কোথা থেকে আসবে?”
তবে, পুরসভা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুরসভা কর্তাদের দাবি,
🗣️ “আমরা শুধুমাত্র সেইসব পরিষেবায় ব্যয় কমিয়েছি, যেখানে কমানো সম্ভব। সম্পত্তিকর এবং অন্যান্য আয় থেকে আসা সম্ভাব্য রাজস্ব দিয়েই এই খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
বাসিন্দারা কী বলছেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ বলছেন,
💬 “পথকুকুরের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে রাতে বের হওয়া ভয়ানক হয়ে উঠেছে। পুরসভার এই পদক্ষেপ দেরিতে হলেও ভালো।”
তবে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন,
💬 “নির্বীজকরণ করলেই কি সমস্যা মিটবে? কুকুরদের জন্য আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থাও জরুরি।”
শেষ কথা
দক্ষিণ দমদম পুরসভার এই নতুন উদ্যোগ পথচারীদের সুরক্ষা এবং পথকুকুরদের স্বাস্থ্য রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য আনতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা শহরের অন্যান্য পুরসভাগুলোকেও উদ্যোগী হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন