পড়ুয়ারা কি স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন?
ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র জয়ব্রত দাসের ছবি দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস মুক্তির আগমুহূর্তেই টলিপাড়ায় নতুন প্রশ্ন—পড়ুয়ারা কি সত্যিই পূর্ণদৈর্ঘ্যের বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন? নাকি প্রযোজকের নাম জুড়লেই তা আর ছাত্র-পরিচালকের স্বাধীন প্রকল্প থাকে না? ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান না নিলে ছবিমুক্তি আটকে যেতে পারে কি? আর সবশেষে—অর্থ কি সত্যিই সমস্যার একমাত্র সমাধান?
🎬 বিতর্কের মূল কারণ কী?
জয়ব্রত দাস দাবি করেছেন, ছবিটি ২০২১ সাল থেকে শুধুই ছাত্রদের অর্থে তৈরি। যেভাবে টাকা এসেছে, সেভাবেই শুটিং এগিয়েছে। পরে প্রযোজনা সংস্থা প্রমোদ ফিল্মস যুক্ত হওয়ায় ছবিটি বাণিজ্যিক রূপ পেয়েছে—এমনটাই বলছে ফেডারেশন।
এখান থেকেই বিতর্ক।
ফেডারেশনের যুক্তি:
যখন কোনও প্রযোজক যুক্ত হন, তখন ছবিটি আর ছাত্র-পরিচালকদের ব্যক্তিগত কাজ থাকে না। সেই ক্ষেত্রে ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান নেওয়া বাধ্যতামূলক।
পরিচালকের যুক্তি:
বিশ্বজুড়ে ফিল্ম স্কুলের ছাত্ররা স্বাধীন ছবি বানান এবং মুক্তিও দেন। কলকাতা হাই কোর্টও পরিচালকের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।
📊 বিষয়টি সহজভাবে বোঝার টেবিল
| প্রশ্ন | কী বলা হচ্ছে? |
|---|---|
| ছাত্ররা কি বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন? | আইনত নিষেধ নেই, তবে বাণিজ্যিক হলে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ম মানতে হয় |
| প্রযোজকের নাম যুক্ত হলে সমস্যা? | ফেডারেশন বলছে হ্যাঁ—তখন ছবি কমার্শিয়াল হয়ে যায় |
| টেকনিশিয়ান না নিলে বাধা? | আদালতের রায় অনুযায়ী বাধা দেওয়া যায় না; তবে ইন্ডাস্ট্রির নিয়ম আলাদা |
| মুক্তির সহজ পথ? | নিয়ম মানলে প্রেক্ষাগৃহে, না মানলে উৎসবমুখী মুক্তি |
🎥 টলিউডের অভিজ্ঞদের মত
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য
তিনি মনে করেন, ডিপ্লোমা ফিল্ম প্রতিষ্ঠানিক স্বত্বভুক্ত হয়, তাই সাধারণত হলে মুক্তি পায় না। কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের অর্থে আলাদা ছবি বানালে সমস্যা নেই।
শেখর দাশ
ছবি বানানোতে বাধা নেই, কিন্তু বাণিজ্যিক মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই ফেডারেশন ও ইম্পা–র নিয়ম মানতে হবে।
পিয়া সেনগুপ্ত (ইম্পা সভাপতি)
যদি প্রযোজকের নাম থাকে, তাহলে সেটি নির্দিষ্ট ভাবে বাণিজ্যিক ছবি। সেই ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই মুক্তি দিতে হবে।
স্বরূপ বিশ্বাস (ফেডারেশন)
সমস্যা পরিচালকের নয়—প্রযোজকের। মুক্তির আগে প্রযোজকের নাম সরানোর দাবি তুলেছেন তিনি।

