নেকড়ের রক্ত এখনও বইছে কুকুরের শিরায়!
আপনার বাড়ির প্রিয় পোষ্য সারমেয়টির শরীরেও কি আছে নেকড়ের জিন? বিজ্ঞান বলছে— হ্যাঁ, থাকতে পারে! নয়া জিন-গবেষণায় উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য—বিশ্বের মোট আধুনিক কুকুর প্রজাতির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যেই এখনও রয়েছে নেকড়ের ডিএনএ।
এটি যে শুধু বিবর্তনের ফেলে যাওয়া অবশিষ্টাংশ, তা নয়। বরং বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন—
গত কয়েক হাজার বছর ধরে গৃহপালিত কুকুর এবং বন্য নেকড়ের মধ্যে আন্তঃপ্রজনন চলেছে বলেই আজকের কুকুরদের শরীরে সেই ডিএনএ রয়ে গিয়েছে।
■ কুকুরের জন্ম নেকড়ের থেকেই— কিন্তু এই ডিএনএ নতুন!
আজ থেকে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে প্রথম কুকুরের আবির্ভাব নেকড়েদের থেকেই।
অনেকেই ভেবেছিলেন, কুকুরের শরীরে যে সামান্য নেকড়ে-ডিএনএ পাওয়া যায়, তা বিবর্তনের পুরনো চিহ্ন।
কিন্তু আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণা জানাচ্ছে—
- এটি প্রাচীন অবশিষ্টাংশ নয়
- বরং হাজার বছরের আন্তঃপ্রজননের ফল
- গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো ‘কমিউনিটি ডগ’— যারা পোষ্য নয়— তাদের ক্ষেত্রে ১০০% ক্ষেত্রে নেকড়ের বংশধারা দেখা গিয়েছে
গবেষক অড্রে লিনের কথায়:
“এত বিপুল হারে নেকড়ের ডিএনএ আধুনিক কুকুরদের শরীরে থাকবে— তা আগে কোনও বিজ্ঞানীই কল্পনা করেননি।”
■ নেকড়ের ডিএনএ কুকুরের কোন বৈশিষ্ট্যে প্রভাব ফেলে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কুকুরদের নেকড়ে-জনিত জিনগুলো তাদের—
- আকার-আকৃতি
- ঘ্রাণশক্তি
- শিকারি আচরণ
- সতর্ক স্বভাব
- শরীরিক সহনশীলতা
এই সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।
অর্থাৎ, আপনার লিভিং রুমে খেলাধুলা করা ছোট্ট সারমেয়টির ভেতরেও সেই বন্য পূর্বপুরুষের ছাপ রয়েছে।

