নীরজ চোপড়ার গোপন বিয়ে!
ভারতের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া, যিনি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয় করেছিলেন এবং প্যারিস অলিম্পিক্সে রূপো জয় করেন, সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেন। পর পর দু’টি অলিম্পিক্সে পদক জেতা এই তারকা ক্রীড়াবিদ বিয়ে করেছিলেন গোপনে। নীরজের বিয়ে বিষয়টি তখনই প্রকাশ পায়, যখন তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিয়ের ছবি শেয়ার করেন। এর আগে, তাঁর বিয়ে বা কোনও সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। এটি ছিল একটি আকস্মিক এবং অনির্বাচিত খবর যা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।
নীরজ চোপড়া ১৬ জানুয়ারি তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু হিমানি মোরের সঙ্গে বিয়ে করেন। ১৯ জানুয়ারি তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে বিয়ের ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তিনি এবং হিমানি একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই কেবল সবাই জানতে পারে যে, নীরজ চোপড়া এই সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন।
নীরজ একটি সাক্ষাৎকারে হিমানির সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কথা জানান। তিনি বলেন, “আমি হিমানিকে অনেক দিন ধরে চিনতাম। তার পরিবারও ক্রীড়া জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত। হিমানির বাবা-মা কবাডি খেলতেন এবং তার দাদারা বক্সিং ও কুস্তি খেলতেন। হিমানি নিজেও টেনিস খেলতেন, তবে চোটের কারণে তিনি খেলা ছেড়ে পড়াশোনায় মন দেন।”
এছাড়া, নীরজ হিমানির সঙ্গে প্রথমবার দেখা হওয়া এবং তাদের সম্পর্কের উন্নতির গল্পও শেয়ার করেন। তিনি জানান, “আমরা দুটি পরিবারের মধ্যে ক্রীড়ার সম্পর্ক ছিল, তাই প্রথম দিকে আমাদের আলাপ-আলোচনা খেলার বিষয়েই ছিল। তবে ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারি যে, আমাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা জন্মেছে।”
নীরজ এবং হিমানির বিয়ে হয়েছিল শিমলার একটি রিসর্টে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৪০-৫০ জন গেস্ট। বিয়েতে দু’টি পরিবারের কিছু আত্মীয় এবং কাছের বন্ধু ছিল। নীরজ বিয়ের পর জানান, “অনেকেই জানতেন আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের অনেকেই জানতেন, তবে আমি চাইছিলাম যত দ্রুত সম্ভব অনুশীলনে ফিরতে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশি লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, কারণ এটা মরসুম শুরুর আগেই করতে চেয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে বড় আয়োজন করতে চাই, যেখানে সকলকে আমন্ত্রণ জানাবো।”
বিয়ের দিন, নীরজ এবং হিমানি একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, এবং সেই ছবিতে নীরজ গোলাপি রঙের পোশাক পরেছিলেন, সঙ্গে গোলাপি পাগড়ি এবং গোলাপি গোলাপের মালা। হিমানি হালকা গোলাপি রঙের পোশাক পরেছিলেন। ছবির ক্যাপশনে নীরজ লিখেছিলেন, “পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের নতুন একটা পর্ব শুরু করলাম। যাঁদের আশীর্বাদে এটা সম্ভব হল তাঁদের কাছে আমি ধন্য। ভালবাসায় বাঁধলাম সারা জীবনের জন্য।”
নীরজের বিয়ের আয়োজন সাধারণ হলেও, তার জীবনের এই নতুন অধ্যায়টি তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তিনি আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে যখন সময় হবে, তাঁর গ্রামের মানুষদের জন্য একটি বড় অনুষ্ঠান করবেন এবং সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?