মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দীপিকার খোলা কথা!
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন কেবল বড় পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও অনেকের অনুপ্রেরণা। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক স্বাস্থ্য ও অবসাদ নিয়ে খোলামেলা কথা বলে আসছেন তিনি, যা বলিউডের মতো গ্ল্যামারাস দুনিয়ায় খুব কম তারকাই করতে সাহস দেখিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা শেয়ার করেছেন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অভিজ্ঞতা, শৈশবের কিছু মজার স্মৃতি এবং কীভাবে মানসিক চাপ সামলান।
কাজের চাপে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলেন দীপিকা
সিনেমার শুটিং, ইভেন্ট, ব্র্যান্ড প্রোমোশন— এই ব্যস্ততার মধ্যে দিনের পর দিন নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে ভুলে গিয়েছিলেন দীপিকা। তিনি বলেন,
“আমি অনবরত কাজ করতাম, বিরতি নিতাম না। একটা সময় এসে বুঝতে পারলাম, আমি যেন নিজের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। তারপর হঠাৎ একদিন অজ্ঞান হয়ে গেলাম! তখনও গুরুত্ব দিইনি। পরে বুঝলাম, আমি আসলে গভীর অবসাদে ভুগছি।”
অর্থাৎ, শরীর এবং মন যখন একসঙ্গে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন সেটাকে উপেক্ষা করা মানেই নিজের প্রতি অবিচার করা।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায় অনুপ্রাণিত দীপিকা
দীপিকা মনে করেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা খুব জরুরি। তাই যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন “নিজেকে চেপে রেখো না, সবসময় নিজের মনের কথা প্রকাশ করো,” দীপিকা তাঁর কথার সঙ্গে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন,
“পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অনুভূতিগুলো চেপে না রেখে প্রকাশ করা উচিত।”
এমনকি তিনি ডায়েরি লেখার অভ্যাস নিয়ে বলেছেন, যা মনের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
শৈশবে দুষ্টুমি ও পড়াশোনার গল্প
শৈশবের স্মৃতি মনে করে দীপিকা জানান, তিনি ছোটবেলায় ভীষণ দুষ্টু ছিলেন!
“আমি কখনও টেবিলে উঠে পড়তাম, কখনও বা চেয়ার-সোফা থেকে লাফ দিতাম! বাসায় সবাই আমাকে সামলাতে হিমশিম খেতেন।”
তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশেষত অঙ্কে বেশ দুর্বল ছিলেন দীপিকা। তিনি মজা করে বলেন,
“পরীক্ষার সময় আমি খুব চাপে থাকতাম। কারণ আমি অঙ্কে খুব কাঁচা ছিলাম, আর এখনও তাই!”
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব: দীপিকার বার্তা
দীপিকা মনে করেন, আমরা যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, আমাদের মন ও শরীরের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ, শারীরিক অসুস্থতা যেমন চিকিৎসা প্রয়োজন, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তিনি সবসময়ই মানুষকে অবসাদ বা মানসিক চাপে ভুগলে সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর মতে,
✅ নিজের অনুভূতিগুলো চেপে না রাখা
✅ কাছের মানুষদের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেওয়া
✅ মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া
✅ প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
এগুলো মেনে চললে আমাদের মন ভালো থাকবে, আর জীবনও হয়ে উঠবে সুন্দর ও ইতিবাচক।
শেষ কথা
কেবল একজন তারকা নয়, দীপিকা পাড়ুকোন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, সফলতাই সব নয়, নিজের ভালো থাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরাও যদি কখনও মানসিক চাপ বা অবসাদে ভুগি, তাহলে চুপ করে থাকার বদলে তা নিয়ে কথা বলাই হবে সবচেয়ে ভালো সমাধান।
“রাজ্যের বাজেট দিশাহীন!”— এক সুরে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু, নওশাদ ও বাম-কংগ্রেস