নিউ জ়িল্যান্ডের রেকর্ড জয়ে হার মানল জ়িম্বাবোয়ে!
টেস্ট ক্রিকেটে আবারও রেকর্ড গড়ল নিউ জ়িল্যান্ড। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এক ইনিংস ও ৩৫৯ রানে পরাজিত হলো আফ্রিকান দলটি। এর ফলে কিউয়িদের জয় আজ পর্যন্ত টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবধান হিসেবে নথিভুক্ত হলো।
দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবোয়ে। নতুন জিল্যান্ডের বোলার ম্যাট হেনরি ঝড়ো বোলিং করে ৫ উইকেট তুলে নেন, আর জ্যাকারি ফোকস নেন ৪টি উইকেট। জিম্বাবোয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাট থেকে।
পরে ব্যাট করতে নেমে পাহাড়ের মতো স্কোর গড়ে তুলে নতুন জিল্যান্ড। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে তারা এবং ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। ডেভন কনওয়ে ১৫৩ রান করেন, হেনরি নিকোলস অপরাজিত ১৫০ এবং রাচিন রবীন্দ্র অপরাজিত ১৬৫ রান সংগ্রহ করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয় হয় জিম্বাবোয়েতে। তারা অলআউট হয় মাত্র ১১৭ রানে। নিক ওয়েলচ ছিলেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান ৪৭ রান করে। জ্যাকারি ফোকস এই ইনিংসে অসাধারণ বোলিং করে ৫ উইকেট নেন। পাশাপাশি ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফি ২টি করে উইকেট নেন।
নিউ জ়িল্যান্ডের এই জয় এখন পর্যন্ত টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধান। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ডের ১৯৩৮ সালের অসাধারণ জয়, যেখানে তারা অস্ট্রেলিয়াকে এক ইনিংস এবং ৫৭৯ রানে হারিয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে আছে ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক ইনিংস ও ৩৬০ রানের বড় জয়। এবার নিউ জ়িল্যান্ড সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই জয়ের মাধ্যমে।
ম্যাচের পর কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেন, “আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। টসে হেরে শুরুতে একটু হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু বোলাররা প্রথম ইনিংসে অসাধারণ বল করেছে। এটা দলের জন্য একটি বড় জয়।”
অন্যদিকে, জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন বলেন, “এ ধরনের হার সবসময় হতাশাজনক। বিশেষ করে আজকের ব্যাটিং পারফরম্যান্স আমাদের জন্য উদ্বেগের। তবে এটাও সত্য যে, আমরা শক্তিশালী ও দক্ষ একটি দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। এই সিরিজ থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অবস্থান কোথায়।”
এই দ্বিতীয় টেস্ট জেতার মাধ্যমে ২ ম্যাচের সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে তারা ৯ উইকেটে জিতেছিল। জিম্বাবোয়ের জন্য এই সিরিজ ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং, আর কিউই দল আরও শক্তিশালী হয়ে সামনে এগোচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ইতিহাস গড়া এই জয়ে নতুন উদ্দীপনায় মজে উঠেছে নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেট। সামনে আরও বড় লড়াইয়ের জন্য তারা প্রস্তুত।

