নয়াদিল্লি স্টেশনে!
নয়াদিল্লি স্টেশনে ঘটে যাওয়া পদপিষ্টের ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ ছিল, তা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে আরপিএফ। রিপোর্টটি তৈরি করেছেন আরপিএফের ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসার। আরপিএফের এই রিপোর্টে যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তা রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া দাবির বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন এক মোড় নেয়।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে রিপোর্টের বিস্তারিত উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, নয়াদিল্লি স্টেশনের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রয়াগরাজমুখী কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন আসবে। তবে কিছু সময় পরেই ঘোষণা করা হয়, সেই ট্রেনটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে। এই সময়েই স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল মগধ এক্সপ্রেস, এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল উত্তর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ধরার জন্য ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন।
কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেনের আসার ঘোষণার পরপরই, ১২, ১৩ এবং ১৪-১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রীরা ওভারব্রিজে ওঠার জন্য চেষ্টা শুরু করেন। সেই সময় দু’টি ওভারব্রিজের সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন মগধ এক্সপ্রেস, উত্তর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। এই হুড়োহুড়ির মধ্যে বহু যাত্রী সিঁড়িতে পড়ে যান এবং কিছু যাত্রী আহত হন। আহত যাত্রীদের মাড়িয়ে দৌড়োতে শুরু করেন অন্য যাত্রীরা।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রেলের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল, পদপিষ্টের ঘটনার কারণ ভুল ঘোষণার সাথে সম্পর্কিত নয়, তা খণ্ডিত হয়েছে। আরপিএফের রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত ভুল ঘোষণা, যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং এর ফলস্বরূপ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এখন, উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশুশেখর উপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আরপিএফসহ একাধিক বিভাগকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবার রিপোর্ট পাওয়ার পর রেলের উচ্চপর্যায়ের কমিটি একটি বিস্তারিত তদন্ত করবে এবং সব পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর, ঘটনাটির নানা দিক নিয়ে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, এবং এখন রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নিয়ে সবার আগ্রহ বেড়ে গেছে।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?